World Bee Day: মৌমাছি আছে তাই...! অধ্যাপক পার্থিব বসুকে মনে রেখে বিশ্ব মৌমাছি দিবস পালন গবেষকদের

২০ মে৷ বিশ্ব মৌমাছি দিবস৷ আর এই দিনেই জন্মেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অকাল প্রয়াত অধ্যাপক, পার্থিব বসু৷ জীবনের একটা বৃহত্তর সময়কাল যিনি এই মৌমাছিদের নিয়েই গবেষণায় কাটিয়েছেন৷

এই অদ্ভুত সমাপতনকে মনের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতি বছর এই দিনটায় সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তাঁর অধীনে গবেষণারত ছাত্রছাত্রীরা৷ এ বছর তাঁদের প্রিয় ‘স্যরের’ চলে যাওয়ার পরেও তাঁরা ধরে রাখতে চাইলেন সেই অঙ্গীকার৷

২০ মে বিশ্ব মৌমাছি দিবস উপলক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হল মৌমাছি বিষয়ক নানা পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং স্লাইড শো’য়ের৷

ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই খুব কাছ থেকে নানা ধরনের মৌমাছির নমুনা দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন এদিন৷ জানতে পারলেন, পরিবেশের সার্বিক ভারসাম্য রক্ষা, খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলিতে অত্যন্ত সাধারণ দেখতে একটা ছোট্ট মৌমাছির ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ৷

অধ্যাপক বসুর সারাজীবনের গবেষণা তুলে ধরা হয় এদিনের অনুষ্ঠানে৷ যেখানে মৌমাছিদের বিষয়ে বহু তথ্য জানতে পারেন দর্শকেরা। পৃথিবীতে ২০ হাজারের বেশি প্রজাতির বন্য মৌমাছিরা কীভাবে থাকে, কোথায় বাসা বানায় এবং তাদের খাদ্য সংগ্রহের পদ্ধতি কী, তা তুলে ধরা হয় সকলের সামনে।

গবেষক সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় বলেন, "সাধারণ মানুষ মৌমাছি বলতেই ভাবেন যারা চাক বানায়, মধু তৈরি করে৷ কিন্তু আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো বন্য মৌমাছিদের বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই।’’

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মৌমাছির পরাগমিলনে যে আনাজ ফলে, তার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি৷ কিন্তু, অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, গাছপালা-ঝোপঝাড় কেটে অত্যধিক ভাবে চাষের জমি বাড়ানো, দূষণ এমন নানা কারণে মৌমাছিদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে৷ যা যথেষ্ট ভীতিপ্রদায়ক৷

‘বি-কজ উই কেয়ার’ শীর্ষক এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে ফোটোগ্রাফি প্রতিযোগিতাও রাখা হয়েছিল৷

তাই এদিনের অনুষ্ঠানে মৌমাছির সংরক্ষণের বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ কীটনাশকের কম ব্যবহার, আশপাশের গাছপালা, দেশজ ঝোপঝাড় না কাটা মৌমাছির সংখ্যাবৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে বলে জানাচ্ছেন অধ্যাপক বসুর গবেষক ছাত্রছাত্রীরা৷

অধ্যাপক ড. পার্থিব বসুর স্ত্রী রণিতা রায় বলেন, ‘‘এখানে বিশ্ব মৌমাছি দিবস পালন করা হয় প্রতিবছরই৷ তবে এবছর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তা পালন করা হচ্ছে৷ দেখে অত্যন্ত ভাল লাগছে যে, তাঁর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এই ছাত্রছাত্রীরা৷ এঁদের মধ্যেই তিনি থেকে যাবেন৷’’