স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির দাদাগিরি! শিক্ষিকাকে ইস্তফার চাপ, প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছে আবেদন করে মেলেনি ছুটি। সেই ছুটি নিয়েই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন সেই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি। আর এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হইচই ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী আরএনরায় গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকাদের রুমের এমনই ঘটনার জেরে প্রশ্ন উঠছে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এক শিক্ষিকা এ দিন ছুটি চান। তাতে আপত্তি জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝুম্পা মজুমদার। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

এর পরেই ওই শিক্ষিকা দ্বারস্থ হন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে। এ দিন বিকাল ৪টা নাগাদ পরিচালন সমিতির সদস্যদের নিয়ে স্কুলে যান ওই শিক্ষিকা। অভিযোগ, এরপরই স্কুলে গিয়ে সভাপতি সুবোধ রায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

চিৎকার জুড়ে দেন ছুটির আবেদনকারী শিক্ষিকা। তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন। সে সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে পদ থেকে সরানোর হুঁশিয়ারি দেন সুবোধ রায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এরপরই সভাপতির কাছে পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইস্তফা দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝুম্পা মজুমদার বলেন,“সবাই একসঙ্গে ছুটি নিলে স্কুল কী ভাবে চলবে, তাই ওই শিক্ষিকাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। এতে সভাপতি স্কুলে এসে অনেক কথায় বলেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সব আছে। শিক্ষা দফতরে জানান হয়েছে।” (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

সভাপতি সুবোধ রায় বলেন,“স্কুলের পড়াশোনা লাঠে উঠেছে। শিক্ষিকারা দল বেধে ছুটি নিচ্ছেন। সেই বিষয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে বলা হয়। তাতে উনি দুর্ব্যবহার করেন। জেলা শিক্ষা দফতরকে জানান হয়েছে।” (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)

ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক(শিক্ষা) শেখ সৈয়দ আনসার। তিনি বলেন,“বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)