

বউয়ের ঘরের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বিষধর কোবরা ৷ আগে একবার বিষ প্রয়োগ করেও বেঁচে গিয়েছিল স্ত্রী ৷ তাই তাকে নিকেশ করে দিতে এবার আরও আঁটঘাঁট বেধে নেমেছিল কেরলের কোলামের সূরজ৷একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত সূরজ ৷ পরিকল্পনায় কোনও ফাঁক রাখেনি এই দুষ্কৃতী ৷ স্ত্রী উত্তরাকে মারার জন্য সাপ কিনে আনার আগে ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাপের ভিডিও দীর্ঘদিন ধরে দেখছিল সে ৷ তার ইচ্ছা ছিল স্ত্রী-র সমস্ত টাকা ও গয়না নিয়ে আবার বিয়ে করা ৷Photo Courtesy-ANI/Twitter


৭ মে নিজের ঘরে মৃত হিসেবে পড়ে ছিলেন উত্তরা ৷ পরিবার যখন জানতে পারে যে তাঁদের মেয়ে সাপের কামড়ে মারা গেছে তখন রহস্য ঘণীভূত হয়৷ এর আগে মার্চ মাসেও তাঁকে সাপ কামড়েছিল ৷ তার এক বছরের ছেলেও আছে ৷পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে নেমে জানতে পারে ফেব্রুয়ারির শেষদিকে একবার উত্তরাকে মারার চেষ্টা করেছিল সূরজ ৷ গতবার নিজের সাপ বিক্রি করা বন্ধু সুরেশের থেকে প্রচণ্ড বিষাক্ত সাপ দিয়ে স্ত্রীকে কামড় খাইয়েছিল ৷ এরপর সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৷ একমাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে মেয়েটি নিজের বাড়িতে গিয়েছিল ৷


প্রথম চেষ্টা বিফল হওয়ার পর সে আবার একটা সাপ কিনে নিয়ে আসে ৷ এবার সে কিনে আনে কোবরা ৷ ৬ মে ঘুমন্ত স্ত্রী-র ওপর কোবরাটি ফেলে দেয় ৷ অন্যদিকে খাটের ওপর বসে বসে সে দেখতে থাকে কীভাবে সাপটি তার বউকে ছোবল মারছে ৷ সাপটি উত্তরাকে দুবার কামড়ায় ৷ পরদিন সকালে সে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ,সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয় ৷Photo- Collected


সূরজ চেষ্টা করেছিল সাপটিকে ধরে ফেলতে কিন্তু সেটা ফসকে পালায় ৷ সারা রাত জেগে সে স্ত্রীর খাটের ওপর বসেছিল ৷ পরে সাপটিকে ওদের বাড়ি থেকেই পাওয়া যায় ৷ স্ত্রী মারা যাওয়ার পরের দিনই যখন সে স্ত্রী-র সম্পত্তির ওপর নিজের অধিকার নিতে যায় তখন উত্তরার পরিবার পুলিশের কাছে যায়৷পুলিশ জানিয়েছে বিয়েতে প্রচুর যৌতুক ও ১০০ গ্রাম সোনার গয়না পেয়েছিল ৷ এরপর অন্য কাউকে পেয়ে উত্তরাকে পথ থেকে সরাতে চেয়েই এই নৃশংসা পরিকল্পনা করে সে ৷Photo- Collected