দিনের পর দিন ধর্ষণ করত অনাথ আশ্রমের ডোনার! ৭ দিনের লড়াই শেষে হাসপাতালে কিশোরীর মৃত্যু

*বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে অনাথ আশ্রমে থাকত বছর ১৪-র কিশোরী। আত্মীয় যারা ছিল, তেমন কেউই কখনও দেখা করতে আসত না। ফলে সেখানে যে কী চলত, তা বোঝা কারও পক্ষেই সম্ভব ছিল না। আর সেই সুযোগ নিত আশ্রমের মালকিন। অনাথ আশ্রমের কিশোরীদের দিয়েই চলত ডোনারের লালসা নিবৃত্তি। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই সম্ভবত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল কিশোরী। প্রতীকী ছবি। 

*কিন্তু কথায় আছে, 'এক মাঘে শীত যায় না'। ঠিক সেই পরবাদই অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল লকডাউনে। বর্তমানে জেলের ঘানি টানছে আশ্রমের মালকিন-সহ ৩ অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি। 

*ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের জেরে অনাথ আশ্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো আবাসিকদের সকলকে আত্মীয়ের বাড়ি পাঠানো হয়। এই কিশোরীকেও কাকার বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। প্রতীকী ছবি। 

*জানা গিয়েছে, কাকার বাড়িতে যাওয়ার পরেই তার মধ্যে অস্বাভাবিক অচরণ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু বাবা-মা না থাকায় কাকাও দায় নিতে চায়নি। ফলে একদিন অবাধ্যতা করায় তাঁকে মারধর করেন তিনি। এরপর ওই কিশোরীকে তার এক তুতোদিদির বাড়ি পাঠানো হয়। প্রতীকী ছবি। 

*কিশোরীর সেই দিদি জানিয়েছেন, বাড়ি যাওয়ার পর থেকেই ভীষণ চুপচাপ থাকত সে। এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল, যে সে হাঁটতে পারছিল না। কিশোরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে সে সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর পরিবারের তরফ থেকে ৩১ জুলাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।  কিশোরী জানিয়েছে, একবার নয়, একাধিকবার তাকে মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি। 

*অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ৭ অগাস্ট হস্টেলের মালকিন চেইলুকুরি বিজয়া, ডোনার নারেদলা বেনুগোপাল রেড্ডি এবং  কেয়ারটেকার জয়দীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ (৩), ৩৪২, ৩২৩ এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। প্রতীকী ছবি। 

*এ দিকে, অসুস্থ কিশোরী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে জানার পড়ে তাকে শেল্টার হোম নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পরে সে। এরপরেই তাকে হায়দরাবাদের নিলোফার শিশু হাসপাতালে  স্থানান্তরিত করা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৭ দিনের লড়াই শেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। প্রতীকী ছবি। 

*প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই কিশোরী একা নয়, রেড্ডির কাছে হোমের আরও অনেক কিশোরীকে মাঝেমধ্যেই পাঠানো হত। তার বদলে মোটা টাকা ডোনেশন পেত বিজয়া। আর এই কাজে তাকে সমানভাবে সাহায্য করত তার ভাই। প্রতীকী ছবি।