

এ বার ব্রিটেনেও জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র পেল মডার্না। শুক্রবার মডার্নাকে তৃতীয় কার্যকরী ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বরিস জনসনের সরকার। প্রথমে শুধু ৭০ লক্ষ ডোজ অর্ডার করা হয়েছিল, তবে ছাড়পত্র দেওয়ার পরে আবেদন বাড়িয়ে মোট ১ কোটি ৭০ লক্ষ ডোজ কেনার কথা জানানো হয়েছে।


ব্রিটেনেই প্রথম করোনার প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ মানুষের প্রথম ধাপের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রথমে ফাইজার বায়োএনটেক, দ্বিতীয় অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং তৃতীয় কার্যকরী ভ্যাকসিন হিসেবে এ বার মর্ডানা যুক্ত হল।


মডার্না ভ্যাকসিনটি ফাইজার বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের অনুরূপভাবে কাজ করে যা ইতিমধ্যে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি সংরক্ষণের জন্য -২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের তাপমাত্রার প্রয়োজন, যা একটি সাধারণ ফ্রিজারের সমান। অন্য দিকে ফাইজার বায়োএনটেক সংরক্ষণ করার জন্য -৫৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি তাপমাত্রার প্রয়োজন, যা পরিবহন সরবরাহকে আরও বেশি কঠিন করে তোলে।


প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, "আমাদের লক্ষ্য হল, চলতি বছরে ফেব্রুয়ারির মধ্যে অন্তত দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। মডার্নাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার ছাড়পত্র দেওয়ায় সেই কাজ আরও দ্রুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে"। অপরদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, "অতিমারির সঙ্গে এই কঠিন লড়াইয়ে আরও একটি অস্ত্র আমাদের হাতে এল"।


উল্লেখ্য, নতুন প্রজাতির করোনা মোকাবিলায় ব্রিটেন এখন নাজেহাল। দেশে বিদেশেও করোনার নয়া স্ট্রেন ইতিমধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে সুখবর, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিক্যাল ব্রাঞ্চ-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল ফাইজার সংস্থা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইজার টিকা নতুন প্রজাতির করোনাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।