করোনার টিকার দু'টি ডোজই পেয়েছেন, সেরকম ৫১৫ জন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে এই গবেষণা চালান এ কে সিং নামে একজন চিকিৎসক এবং তাঁর সহকর্মীরা৷ ভ্যাকিসনের কার্যকরিতা নিয়ে ভারতে এই ধরনের সমীক্ষা এই প্রথম হল৷ সেই গবেষণারই প্রাথমিক ফলে দেখা গিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ড টিকা প্রাপকদের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করছে৷
তবে দেখা গিয়েছে, যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অ্যান্টি স্পাইক অ্যান্টিবডি টাইটারের উপস্থিতি কোভ্যাক্সিনের তুলনায় বেশি৷ বিশেষ এক ধরনের রক্ত পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ড প্রাপকদের ক্ষেত্রে যেখানে প্রতি মিলিলিটারে ১১৫ আরবিট্রারি ইউনিট অ্যান্টিবডি টাইটার পাওয়া গিয়েছে, সেখানে কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে প্রতি মিলিলিটারে ৫১ আরবিট্রারি ইউনিট অ্যান্টিবডি টাইটার মিলেছে৷
এই রক্ত পরীক্ষায় শরীরে রক্তের মধ্যে কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি উপস্থিত রয়েছে এবং তার মাত্রা (টাইটার) নির্ধারণ করা হয়৷ তবে অ্যান্টি স্পাইক অ্যান্টিবডি লেভেল এবং নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি টাইটার বা মাত্রা এক নয়৷ দু'টি মাত্রাকে এক করে দেখাও ঠিক নয়৷ শরীরে মোট যে অ্যান্টি স্পাইক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার সামান্য একটি অংশ হল আরবিট্রারি ইউনিট অ্যান্টিবডি টাইটার৷