Middle Class People: মধ্যবিত্ত কারা? তাঁদের আয় কত? সমীক্ষায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Last Updated:
Middle Class People: YouGov-Mint-CPR Millennials-এর সমীক্ষায় দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষই নিজেদের মধ্যবিত্ত বলে পরিচয় দিয়েছেন।
1/8
“আমরা মধ্যবিত্ত, আমাদের কী আর এসব সাজে।” অনেকেই বলেন এমনটা। সেটা জিনিসপত্রের দাম বাড়ুক কিংবা অন্য কিছু। কোপটা সবার আগে মধ্যবিত্তের উপরেই না কি পড়ে। কিন্তু প্রশ্ন হল মধ্যবিত্ত কারা? অর্থই কী মধ্যবিত্ত শ্রেণী নির্ধারণ করে দেয়? না কি মানসিকতা?
“আমরা মধ্যবিত্ত, আমাদের কী আর এসব সাজে।” অনেকেই বলেন এমনটা। সেটা জিনিসপত্রের দাম বাড়ুক কিংবা অন্য কিছু। কোপটা সবার আগে মধ্যবিত্তের উপরেই না কি পড়ে। কিন্তু প্রশ্ন হল মধ্যবিত্ত কারা? অর্থই কী মধ্যবিত্ত শ্রেণী নির্ধারণ করে দেয়? না কি মানসিকতা?
advertisement
2/8
YouGov-Mint-CPR Millennials-এর সমীক্ষায় দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষই নিজেদের মধ্যবিত্ত বলে পরিচয় দিয়েছেন। দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার কম আয় করেন, তাঁরাও নিজেদের মধ্যবিত্ত মনে করেন। সমীক্ষায় এই আয় গোষ্ঠীর ৯০ শতাংশ মানুষের এমনটাই দাবি।
YouGov-Mint-CPR Millennials-এর সমীক্ষায় দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষই নিজেদের মধ্যবিত্ত বলে পরিচয় দিয়েছেন। দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার কম আয় করেন, তাঁরাও নিজেদের মধ্যবিত্ত মনে করেন। সমীক্ষায় এই আয় গোষ্ঠীর ৯০ শতাংশ মানুষের এমনটাই দাবি।
advertisement
3/8
এত পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু গোল বেঁধে এরপর। সমীক্ষার সময় মাসে ৪ লাখ টাকার বেশি আয় করেন এমন জনগোষ্ঠীর ৫৭ শতাংশ মানুষও নিজেদের মধ্যবিত্তই বলেছেন। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, মধ্যবিত্ত কারা তা বোঝার জন্য কী কোনও মানদণ্ড রয়েছে?
এত পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু গোল বেঁধে এরপর। সমীক্ষার সময় মাসে ৪ লাখ টাকার বেশি আয় করেন এমন জনগোষ্ঠীর ৫৭ শতাংশ মানুষও নিজেদের মধ্যবিত্তই বলেছেন। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, মধ্যবিত্ত কারা তা বোঝার জন্য কী কোনও মানদণ্ড রয়েছে?
advertisement
4/8
ব্লুম ভেঞ্চারস-এর মতে, ভারতীয় গ্রাহকদের তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে রয়েছেন ধনীরা। দেশের প্রায় ৩ কোটি পরিবার অর্থাৎ ১২ কোটি মানুষ এই শ্রেণীতে পড়েন। এঁদের মাথাপিছু আয় প্রায় ১২.৩ লক্ষ টাকা।
ব্লুম ভেঞ্চারস-এর মতে, ভারতীয় গ্রাহকদের তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে রয়েছেন ধনীরা। দেশের প্রায় ৩ কোটি পরিবার অর্থাৎ ১২ কোটি মানুষ এই শ্রেণীতে পড়েন। এঁদের মাথাপিছু আয় প্রায় ১২.৩ লক্ষ টাকা।
advertisement
5/8
দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে উচ্চাকাঙ্খী শ্রেণী বা মধ্যবিত্ত। এই শ্রেণীতে দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ রয়েছে। এঁদের মাথাপিছু আয় ২.৫ লাখ টাকা। তৃতীয় ভাগে অর্থাৎ পিরামিডের একেবারে নীচে রয়েছেন নিম্নবিত্ত। এঁরাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ। ঋণ বা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেওয়ার মতো উপার্জন এঁদের নেই।
দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে উচ্চাকাঙ্খী শ্রেণী বা মধ্যবিত্ত। এই শ্রেণীতে দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ রয়েছে। এঁদের মাথাপিছু আয় ২.৫ লাখ টাকা। তৃতীয় ভাগে অর্থাৎ পিরামিডের একেবারে নীচে রয়েছেন নিম্নবিত্ত। এঁরাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ। ঋণ বা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেওয়ার মতো উপার্জন এঁদের নেই।
advertisement
6/8
বৈষম্য কমানো প্রয়োজন: দেখা যাচ্ছে, ধনী শ্রেণীর আয় যেখানে মাথাপিছু ১২.৩ লাখ, সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আয় ২.৫ লাখ। ফারাকটা চোখে পড়ার মতো। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বৈষম্য কমানো প্রয়োজন। তবেই আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় হবে, সমাজ হবে স্থিতিশীল।
বৈষম্য কমানো প্রয়োজন: দেখা যাচ্ছে, ধনী শ্রেণীর আয় যেখানে মাথাপিছু ১২.৩ লাখ, সেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আয় ২.৫ লাখ। ফারাকটা চোখে পড়ার মতো। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বৈষম্য কমানো প্রয়োজন। তবেই আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় হবে, সমাজ হবে স্থিতিশীল।
advertisement
7/8
খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায়, ধনী শ্রেণীর কোনও কিছুতেই কিছু যায় আসে না। দেশে দূষণ বাড়লে তাঁরা বিদেশে চলে যেতে পারেন অনায়াসে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ল কি কমল তাতেও কোনও ফারাক পড়ে না। কারণ তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা বেশি।
খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায়, ধনী শ্রেণীর কোনও কিছুতেই কিছু যায় আসে না। দেশে দূষণ বাড়লে তাঁরা বিদেশে চলে যেতে পারেন অনায়াসে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ল কি কমল তাতেও কোনও ফারাক পড়ে না। কারণ তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা বেশি।
advertisement
8/8
বিপাকে পড়ে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণী। তাঁদের কাছে বিদেশে যাওয়াটা স্বপ্নের মতো। যতই দূষণ বাড়ুক, তাঁদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও মাথায় হাত পড়ে যায়। তখন জরুরি খরচ কাটছাঁট করা ছাড়া অন্য উপায় থাকে না। কারণ পিএলএফএস-এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩ এর মধ্যে কর্মীদের প্রকৃত মজুরি বছরে মাত্র ০.৭ শতাংশ বেড়েছে। মানে না বাড়ারই মতো। এই পরিস্থিতিতে আর কী করার থাকতে পারে!
বিপাকে পড়ে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণী। তাঁদের কাছে বিদেশে যাওয়াটা স্বপ্নের মতো। যতই দূষণ বাড়ুক, তাঁদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও মাথায় হাত পড়ে যায়। তখন জরুরি খরচ কাটছাঁট করা ছাড়া অন্য উপায় থাকে না। কারণ পিএলএফএস-এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩ এর মধ্যে কর্মীদের প্রকৃত মজুরি বছরে মাত্র ০.৭ শতাংশ বেড়েছে। মানে না বাড়ারই মতো। এই পরিস্থিতিতে আর কী করার থাকতে পারে!
advertisement
advertisement
advertisement