গত এক সপ্তাহে আমেরিকার দুটি ব্যাঙ্ক সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক ও সিগ্নেচার ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে ৷ তৃতীয় ব্যাঙ্ক ফার্স্ট রিপাব্লিক ব্যাঙ্ককে অন্যান্য বড় ব্যাঙ্কগুলি ৩০ কোটি ডলার দিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছে ৷ মার্কিন ব্যাঙ্ক ডুবে যাওয়ায় এর সেরকম কোনও প্রভাব ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় কোনও প্রভাব পড়েনি ৷ তবে একের পর এক ব্যাঙ্ক এরকম ভাবে বন্ধ যাওয়ায় সাধারণ মানুষ বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে ৷
টেকনিক্যালি এর অর্থ হচ্ছে ডমেস্টিক সিস্টেমেটিক্যালি ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাঙ্ক ৷ যে ব্যাঙ্ক দেশের অর্থ ব্যবস্থার জন্য এতটাই জরুরি হয় যে সরকার তাদের ডুবে যাওয়া কখনই অ্যাফোর্ড করতে পারবে না ৷ এই ব্যাঙ্ক ডুবে গেলে গোটা দেশের আর্থিক অবস্থা নড়ে যাবে ৷ এর জেরে আর্থিক সঙ্কট ও প্যানিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে ৷ ইংরেজিতে এই ব্যাঙ্কগুলির জন্য ‘too big to fail’ কথাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷
২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পরে ব্যাঙ্কগুলিকে D-SIB হিসাবে ঘোষণা করার ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। এরপর অনেক দেশের অনেক বড় ব্যাঙ্ক ডুবে যায়৷ ২০১৫ থেকে RBI প্রতি বছর D-SIB-এর তালিকা প্রকাশ করে। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে শুধুমাত্র SBI এবং ICICI ব্যাঙ্কই D-SIB ছিল। ২০১৭ থেকে HDFCও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ব্যাঙ্কের পারফরম্যান্স এবং কাস্টোমার বেসের উপর নির্ভর করে D-SIB-এর লিস্ট তৈরি করা হয় ৷ D-SIB লিস্টে থাকার জন্য ব্যাঙ্কের সম্পত্তি দেশের জিডিপি-র ২ শতাংশের বেশি হতে হবে ৷ ব্যাঙ্কের গুরুত্ব অনুযায়ী D-SIB এর পাঁচটি আলাদা আলাদা বাকেটে রাখা হয় ৷ বাকেট ৫ এ থাকা মানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্ক আর বাকেট ১ মানে সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ৷ বর্তমানে D-SIB এর ৩ নম্বর বাকেটে রয়েছে এসবিআই, HDFC ও ICICI ব্যাঙ্কে রয়েছে বাকেট ওয়ানে ৷