PPF না কি NSC? কোথায় বিনিয়োগ করলে সবচেয়ে বেশি লাভ দেখে নিন!

বিনিয়োগ করার সময় মানুষ কী কী খোঁজে? নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ রিটার্ন এবং ট্যাক্স ছাড়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আর্থিক লক্ষ্য পূরণ করতে চাইলেও মোটামুটি এই জিনিসগুলিই মাথায় থাকে। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট তেমনই দুটি স্কিম। দুটি স্কিমই সরকার-সমর্থিত। ফলে মূলধনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। মেয়াদ শেষে মিলবে নিশ্চিত রিটার্নও। কিন্তু এই দুটি স্কিমের মধ্যে সবচেয়ে ভাল কোনটা?

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ: পিপিএফ সরকার-সমর্থিত ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা দিয়ে এই স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। আয়কর আইন ১৯৬১-র ধারা ৮০সি-এর অধীনে কর সুবিধা পাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারী এই স্কিমে বার্ষিক সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।

পিপিএফ থেকে প্রাপ্ত সুদ করমুক্ত। শুধু তাই নয়, এই স্কিমে বার্ষিক অবদান, সঞ্চিত সুদ এবং ম্যাচিউরিটির পরিমাণও সম্পূর্ণ করমুক্ত। প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদের হার পরিবর্তিত হতে পারে। বর্তমানে এই স্কিমে ৭.৯ শতাংশ হারে সুদ মিলছে। পিপিএফ-এর মেয়াদ ১৫ বছর। তবে বিনিয়োগকারী চাইলে এই মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়াতে পারেন।

পিপিএফ স্কিমে একক হোল্ডিংয়েই বিনিয়োগ করা যায়। যৌথ হোল্ডিংয়ের বিধান নেই। তবে নমিনির সুবিধা রয়েছে। নাবালক সন্তানের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ অর্থবর্ষে পিপিএফ অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ঋণ নেওয়া যেতে পারে। ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা যায়।

ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা এনএসসি: এই স্কিমে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। পিপিএফ-এর মতো এনএসসি-তে বিনিয়োগের কোনও উর্ধ্বসীমা নেই।

এনএসসি-র মেয়াদ ৫ বছর। চাইলেও এর মেয়াদ বাড়ানোর বিধান নেই। প্রয়োজনে সেই সময়ের প্রদত্ত সুদের হারে নতুন শংসাপত্র কিনতে হবে। পাঁচ বছরের মেয়াদে বর্তমানে সুদের হার ৭.৯ শতাংশ। এই স্কিমে মূল পরিমাণের পাশাপাশি অর্জিত সুদেও কর ছাড় পাওয়া যায়। সুতরাং কেউ যদি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন এবং ৮০০ টাকা অর্জিত সুদ হয় তাহলে উভয়ই ৮০সি ধারায় করছাড় যোগ্য। তবে মনে রাখতে হবে, ৮০ সি ধারায় সর্বাধিক দেড় লক্ষ টাকায় কর ছাড় মেলে।