সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের কাজ অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে এবং পয়লা এপ্রিল থেকে সেটি কার্যকর হতে চলেছে ৷ করোনা ভাইরাসের জেরে ২১ দিনের জন্য লকডাউন গোটা দেশ ৷ কিন্তু তার মধ্যেই ১ এপ্রিল ব্যাঙ্কের মার্জার হবে ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই মাসের শুরুতেই ১০ ব্যাঙ্ককে ৪টি ব্যাঙ্কে মার্জ করার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে ৷ আগামী আর্থিক বছর থেকে এই মার্জার কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে ৷
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের জেরে দেশের যা পরিস্থিতি সেটা মাথায় রেখে সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তারা ব্যাঙ্ক মার্জার পিছিয়ে দেবে কিনা ৷ কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, আপাতত তাদের এরকম কোনও চিন্তাভাবনা নেই ৷ বর্তমান পরিস্থিতির জেরে AIBOC বুধবার ব্যাঙ্ক মার্জার পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ৷
প্রস্তাব অনুযায়ী, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মার্জার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে হবে ৷ সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের কানাড়া ব্যাঙ্কের সঙ্গে, অন্ধ্র ও কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে আর এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সঙ্গে মার্জার হবে ৷ এই মার্জারের পর দেশে ৭টি বড় সরকারি ব্যাঙ্ক হতে চলেছে যার ব্যবসা ৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হতে চলেছে ৷ এর জেরে দেশে ৭টি বড় ব্যাঙ্ক ও ৫টি ছোট ব্যাঙ্ক হয়ে যাবে ৷ ২০১৭ সালে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা ছিল ২৭টি ৷
গ্রাহকদের উপর কী প্রভাব পড়তে চলেছে ?
গ্রাহকদের নতুন অ্যাকাউন্ট নম্বর ও কাস্টোমার আইডি দেওয়া হতে পারে৷
যে গ্রাহকদের নতুন অ্যাকাউন্ট নম্বর ও IFSC কোড দেওয়া হবে তাদের নতুন তথ্য আয়কর বিভাগ, ইস্যুরেন্স, ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে দিতে হবে ৷
SIP ও EMI লোনের জন্য নতুন ফর্ম ফিলআপ করতে হতে পারে৷
নতুন চেকবুক, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্জ ইস্যু করা হতে পারে ৷
ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকার্রিংয়ে যা ইন্টারেস্ট পাচ্ছেন তাতে কোনও বদল হবে না ৷
যে দরে গাড়ি, বাড়ি বা পার্সোনাল লোন নিয়েছেন তাতে কোনও বদল করা হবে না ৷
বেশ কিছু শাখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে ৷ এর জন্য গ্রাহকদের নতুন শাখায় যেতে হতে পারে ৷