Mutual Fund Investment Tips: ঠিক কতগুলো মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত? এর বেশি হলে মুশকিল, দেখে নিন পুরো হিসেব

২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মিউচুয়াল ফান্ডের মোট এইউএম দাঁড়িয়েছে ৬৪.৫৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়া। তবে জানুয়ারির তুলনায় এইউএম কমেছে ৪ শতাংশ। এর কারণ শেয়ার বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতি।

ভারতের বাজার থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও চূড়ান্ত অস্থিরতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক নীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত। টাকার তুলনায় ডলারের দাম বাড়ছে। সব মিলিয়ে ইক্যুইটি বাজারে ধ্বস নেমেছে।

ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ২৬ শতাংশের বেশি কমে ২৯,৩০৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারিতেও ছবিটা পাল্টায়নি। তবে দীর্ঘমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের ছবিটা অন্য। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোট এইউএম ছিল ১২.০২ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২৫-এর ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে ৬৪.৫৩ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগ আসবে।

তবে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, খুব বেশি ফান্ডে বিনিয়োগ করা ঠিক নয়। এতে হোল্ডিং বাড়বে বটে কিন্তু ঝুঁকি কমবে না। শুধু তাই নয়, মোট রিটার্নও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। পোর্টফোলিও সামলানোই মুশকিল হয়ে যাবে। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে।

ধরে নেওয়া যাক, কেউ ১০টি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলেন। তাহলে তাঁর পোর্টফোলিওতে ৫০০-এর বেশি স্টক থাকতে পারে। এত স্টক সামলানো জটিল কাজ। তাছাড়া রিডেম্পশনের খরচও বাড়বে। যা মোট রিটার্নকে কমিয়ে দেবে। তাই পরিকল্পনাহীনভাবে অনেক ফান্ডে বিনিয়োগ না করে, দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের ভিত্তিতে সীমিত সংখ্যক মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২ থেকে ৩টি মিউচুয়াল ফান্ড যথেষ্ট। ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন বিনিয়োগ কৌশলের ৩ থেকে ৫টি ফান্ড রাখা যেতে পারে। ডেব্ট ফান্ড বিনিয়োগের সময় মূলধন সুরক্ষা এবং লিকুইডিটির কথা মাথায় রাখতে হবে। বৈচিত্র্য দরকার। কিন্তু অতিরিক্ত বৈচিত্র্য বিপদে ফেলতে পারে। এই প্রসঙ্গে ওয়ারেন বাফেট একবার বলেছিলেন, "যারা জানে না তারা কী করছে, শুধু তাদের জন্যই ব্যাপক বৈচিত্র্য প্রয়োজন।"

যদি বিনিয়োগ নিয়ে কোনো দ্বিধা থাকে, তাহলে SEBI নিবন্ধিত বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তারাঁ ইক্যুইটি বিনিয়োগ, বৈচিত্র্যকরণ (diversification) এবং সম্পদ সংরক্ষণের (wealth conservation) বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।