EMI দিতে পারেননি? এই কাজটা করলেই আর জরিমানা দিতে হবে না, ক্রেডিট স্কোরও ঠিক থাকবে
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
EMI দিতে দেরি হলে বকেয়া টাকার উপর বাড়তি সুদ যোগ হয়। ফলে ঋণের বোঝা আরও বাড়ে। শেষমেশ ইএমআই পরিশোধ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
ইএমআই দিতে দেরি হলে বকেয়া টাকার উপর বাড়তি সুদ যোগ হয়। ফলে ঋণের বোঝা আরও বাড়ে। শেষমেশ ইএমআই পরিশোধ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বিলিং স্টেটমেন্টে নির্দিষ্ট সময়সীমার তিন দিন পরও ইএমআই না মেটালে তা ওভারডিউ হিসেবে ধরা হবে। তাই ইএমআই সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে অতিরিক্ত চার্জের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।
advertisement
সময়ে ইএমআই না মেটালে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিভিন্ন হারে জরিমানা নেয়। যেমন এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ১০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করে। আবার কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক বকেয়া পরিমাণের উপর ৮ শতাংশ হারে চার্জ নেয়। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে জরিমানার পরিমাণ ১০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতিরিক্ত সুদ এড়াতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইএমআই পরিশোধ করা উচিত। যাতে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
advertisement
ইএমআই না মেটালে ক্রেডিট স্কোরেও এর প্রভাব পড়ে। নির্ধারিত তারিখ যত এগিয়ে আগে ক্ষতির আশঙ্কা তত বাড়ে। ক্রেডিট হিস্ট্রি ঠিক রাখতে এই স্কোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আগেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এর জন্য আর্থিক বিশেষজ্ঞরা তিনটি বিষয়ে নজর দিতে বলেন। প্রথমত, যত দ্রুত সম্ভব ইএমআই পরিশোধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, অটো পেমেন্ট সেটআপ। যাতে ভবিষ্যতে দেরি না হয়। তৃতীয়ত, নিয়মিত ইএমআই পরিশোধ করলে ক্রেডিট স্কোর ঠিক থাকবে। ভবিষ্যতে লোন পেতে সমস্যা হবে না।
advertisement
গ্রাহকের যদি মনে হয়, ইএমআই পরিশোধ করতে দেরি হবে, কোনও সমস্যা রয়েছে, তাহলে অবিলম্বে ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা উচিত। ব্যাঙ্ককে নিজের সমস্যার কথা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। অধিকাংশ ব্যাঙ্কের এই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অনেক সময় আগে জানালে লেট ফি মকুব করে দেওয়াও হয়। কিছু ব্যাঙ্ক সাময়িক ছাড় দিতেও পারে। যাতে গ্রাহকের আর্থিক চাপ কিছুটা কমে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করলে ক্রেডিট স্কোরও ঠিক থাকে।