ঢুকবে কড়কড়ে '১০০০' টাকা...! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে চান? আগে জানুন নতুন নির্দেশিকা! কী কী 'নিয়ম' মানতেই হবে?

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অন্যতম জনসেবামূলক প্রকল্প। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নানান সমাজসেবা মূল প্রকল্প চালু করেছে যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যা প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে দিচ্ছে আর্থিক সহায়তা।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছাড়াও কন্যাশ্রী থেকে বিধবা ভাতা, স্কুল পড়ুয়া থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলের জন্যই একাধিক প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। প্রতি মাসে সরকার দিচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা।

মমতা সরকারের এই সকল প্রকল্পের তালিকায় আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রীর মতো বিভিন্ন জনকল্যাণকারী প্রকল্প।

তবে নিঃসন্দেহে মমতা সরকারের সব থেকে জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। রাজ্যের মা-বোনেদের জন্য এই প্রকল্প নিয়ে চর্চা শুধু রাজ্যেই নয় রাজ্যের গণ্ডির বাইরে এখন গোটা দেশেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মা বোনেদের রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। সমাজ সচেতন রক্ষার পাঠ দিতে হবে। বোনেদের দেখে রাখবেন। যাতে কেউ তাদের ওপর অত্যাচার না করে। কেউ লোভ করবেন না। সরকারি প্রকল্পে টাকা চাইলে, এক টাকাও দেবেন না। যদি কেউ টাকা চায় তাহলে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান।”

এবার নতুন বছরে বড় আপডেট এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে। জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। জেনে নেওয়া যাক নির্দেশিকা অনুযায়ী কী কী নিয়ম মানতেই হবে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে গেলে নতুন নিয়ম মানতে হবে। আপনার বয়স ২৫ থেকে ৬০-র মধ্যে হলেই মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এর জন্য জমা দিতে হবে বয়সের প্রমাণ পত্র।

আপনার নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে তবেই মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তা না হলে অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাবে।

আছে আরও কিছু নিয়ম, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার লিঙ্ক করা না থাকলে মিলবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা।

আবার একইসঙ্গে, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে KYC জমা করা না থাকলে মিলবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা।

প্রতি মাসে সাধারণ জাতির মহিলারা ১০০০ টাকা করে এবং তপশিলি মহিলারা ১২০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন এই লক্ষ্মীক ভাণ্ডার ভাতা বাবদ।

কারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে পারবেন না ? কোনও সরকারি/কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থায় চাকরি থেকে মাসিক উপার্জন আছে এমন মহিলারা এই আবেদন করতে পারবেন না।

সাধারণ মহিলা, যারা কর্মরত নন, তারাই এই প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেন। সাধারণ মহিলারা মাসে মাসে এবার ১০০০ টাকা করে এবং আদিবাসী-তপশিলী জাতির মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করে পাবেন।