Knowledge Story: কেন কোকাকোলা ৭০ বছর ধরে কোল্ড ড্রিঙ্কসের দাম বাড়ায়নি, এই কারণটি অনেকেই জানেন না

Last Updated:
Knowledge Story: এই সংস্থা প্রায় ৭০ বছর ধরে একটি বোতলের দাম বাড়ায়নি। শুনতে যতই অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি
1/13
ব্যবসার মূল নিয়ম হল লাভ। প্রতিটি কোম্পানি তার খরচ এবং লাভের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তার পণ্যের দাম একটা সময় পর বৃদ্ধি করে। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
ব্যবসার মূল নিয়ম হল লাভ। প্রতিটি কোম্পানি তার খরচ এবং লাভের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তার পণ্যের দাম একটা সময় পর বৃদ্ধি করে। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
2/13
কিন্তু কোকা-কোলা (coca cola) এমন একটি কোম্পানি, যা ব্যবসার এই মূলনীতিকে উল্টে দিয়েছে। এই সংস্থা প্রায় ৭০ বছর ধরে একটি বোতলের দাম বাড়ায়নি। শুনতে যতই অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
কিন্তু কোকা-কোলা (coca cola) এমন একটি কোম্পানি, যা ব্যবসার এই মূলনীতিকে উল্টে দিয়েছে। এই সংস্থা প্রায় ৭০ বছর ধরে একটি বোতলের দাম বাড়ায়নি। শুনতে যতই অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
3/13
১৮৮৬ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ৫ সেন্ট (আজকের ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ টাকা) কোকের একটি ৬.৫ ওজ (oz) বোতল পাওয়া যেত এবং ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত এই বোতলের দাম একই ছিল। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
১৮৮৬ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ৫ সেন্ট (আজকের ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ টাকা) কোকের একটি ৬.৫ ওজ (oz) বোতল পাওয়া যেত এবং ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত এই বোতলের দাম একই ছিল। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
4/13
অর্থাৎ ৭০ বছর ধরে কোকাকোলার ওই বোতলটির কোনও দামই বাড়েনি। অবাক করার মতো বিষয়ে ১৮৮৬ থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে ২ টি বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল। গোটা বিশ্বের সব দেশেই নেমে এসেছিল আর্থিক মন্দা। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
অর্থাৎ ৭০ বছর ধরে কোকাকোলার ওই বোতলটির কোনও দামই বাড়েনি। অবাক করার মতো বিষয়ে ১৮৮৬ থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে ২ টি বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল। গোটা বিশ্বের সব দেশেই নেমে এসেছিল আর্থিক মন্দা। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
5/13
সেই সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্যের তুমুল দাম বৃদ্ধি হয়েছিল। তেমনই কোক উৎপাদনে ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিসের দাম বহুগুণ বেড়ে যায়। যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর চিনির দাম তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও দাম বৃদ্ধি ঘটেনি।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
সেই সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্যের তুমুল দাম বৃদ্ধি হয়েছিল। তেমনই কোক উৎপাদনে ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিসের দাম বহুগুণ বেড়ে যায়। যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর চিনির দাম তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও দাম বৃদ্ধি ঘটেনি।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
6/13
এর নেপথ্যে মূলত দুটি কারণ রয়েছে। কোকাকোলা প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পরে অর্থাৎ ১৮৯৯ সালে এই সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা এসা ক্যান্ডলারের সঙ্গে দুজন আইনজীবী দেখা করেন।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
এর নেপথ্যে মূলত দুটি কারণ রয়েছে। কোকাকোলা প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পরে অর্থাৎ ১৮৯৯ সালে এই সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা এসা ক্যান্ডলারের সঙ্গে দুজন আইনজীবী দেখা করেন।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
7/13
আইনজীবীদের দাবি ছিল, তাঁরা কোকাকোলা বোতলজাত করে বিক্রি করতে চান। বোতল বিক্রির জন্য আলাদা করে চুক্তি করতে চান।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
আইনজীবীদের দাবি ছিল, তাঁরা কোকাকোলা বোতলজাত করে বিক্রি করতে চান। বোতল বিক্রির জন্য আলাদা করে চুক্তি করতে চান।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
8/13
প্রথমে ক্যান্ডলার সেই প্রস্তাবে রাজি না হলেও, পরে মেনে নেন। কিন্তু সেই চুক্তির জেরেই বিপাকে পড়ে কোকাকোলা সংস্থা। কারণ, এই চুক্তির শেষ হওয়ার কোনও মেয়াদ ছিল না।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
প্রথমে ক্যান্ডলার সেই প্রস্তাবে রাজি না হলেও, পরে মেনে নেন। কিন্তু সেই চুক্তির জেরেই বিপাকে পড়ে কোকাকোলা সংস্থা। কারণ, এই চুক্তির শেষ হওয়ার কোনও মেয়াদ ছিল না।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
9/13
অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী, কোকা-কোলা তাদের পানীয়টি সেই আইনজীবীদের কাছে চিরতরে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী, কোকা-কোলা তাদের পানীয়টি সেই আইনজীবীদের কাছে চিরতরে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
10/13
ফলে দীর্ঘদিন কোনও দাম বাড়াতে পারেনি কোকাকোলা সংস্থা। এতে তাদের সমস্যাতেও পড়তে হয়েছিল। কিন্তু পরে এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়। ১৯২১ সালে ওই চুক্তি নতুন করে সাক্ষরিত করা হয়। সেখানে চুক্তির বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
ফলে দীর্ঘদিন কোনও দাম বাড়াতে পারেনি কোকাকোলা সংস্থা। এতে তাদের সমস্যাতেও পড়তে হয়েছিল। কিন্তু পরে এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়। ১৯২১ সালে ওই চুক্তি নতুন করে সাক্ষরিত করা হয়। সেখানে চুক্তির বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
11/13
কিন্তু তারপরেও আরেকটি সমস্যা তৈরি হয়। কোকা কোলার ভেন্ডিং মেশিন নিয়ে। এই মেশিনগুলি ৫ সেন্ট মুদ্রা গ্রহণ করার জন্য তৈরি হয়েছিল।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
কিন্তু তারপরেও আরেকটি সমস্যা তৈরি হয়। কোকা কোলার ভেন্ডিং মেশিন নিয়ে। এই মেশিনগুলি ৫ সেন্ট মুদ্রা গ্রহণ করার জন্য তৈরি হয়েছিল।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
12/13
কোকাকোলা যদি দাম বাড়াত, তাহলে ওই ভেন্ডিং মেশিন গ্রহণ করত না। কারণ, একেবারে একটি পয়সা নেওয়ার জন্য এই মেশিন তৈরি হয়েছিল। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
কোকাকোলা যদি দাম বাড়াত, তাহলে ওই ভেন্ডিং মেশিন গ্রহণ করত না। কারণ, একেবারে একটি পয়সা নেওয়ার জন্য এই মেশিন তৈরি হয়েছিল। (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
13/13
১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সংস্থাটি এতো বোঝা বহন করতে পারেনি। পরে সেই বোতলের দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু ২০১২ সালেই কোকাকোলা কোম্পানি এই বোতলটি উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সংস্থাটি এতো বোঝা বহন করতে পারেনি। পরে সেই বোতলের দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু ২০১২ সালেই কোকাকোলা কোম্পানি এই বোতলটি উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।(প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে pixabay)
advertisement
advertisement
advertisement