আধার কার্ড সক্রিয় আছে না কি নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে? কীভাবে দেখবেন জেনে নিন!

আধার কার্ড এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি। আয়কর রিটার্ন দাখিল থেকে রিয়েল এস্টেট ডিল এমনকী মৃত্যু শংসাপত্র পাওয়ার সময়েও আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক।

মনে করা হচ্ছে, বর্তমানে ১.১২ বিলিয়নেরও বেশি ভারতীয় আধারের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৮৮.২ শতাংশ।

সম্প্রতি একটি রিপোর্টে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, ইউআইডিএআই আজ পর্যন্ত প্রায় ৮১ লাখ আধার কার্ড বাতিল করে দিয়েছে। এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে।

তবে একাধিক আধার নম্বর ইস্যু করা হলে কিংবা বায়োমেট্রিক ডেটা বা সহায়ক নথিতে অসঙ্গতি, আধার কার্ড বাতিলের প্রধান কারণ। এখন আধার কার্ড সক্রিয় আছে কি না তা অনলাইনে কীভাবে দেখতে হয়?

অনলাইনে আধার কার্ডের স্টেটাস যাচাইয়ের পদ্ধতি: আধার কার্ড সক্রিয় আছে নাকি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে, তা অনলাইনে দেখার পদ্ধতি –

ইউআইডিএআই-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ভেরিফাই আধার নম্বর’ টুল থেকে বিষয়টি জানা যাবে।

‘আধার সার্ভিস’ ট্যাব থেকে ‘ভেরিফাই আধার নম্বর’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। আধার কার্ড হোল্ডারকে ১২ সংখ্যার আধার নম্বর এবং সিকিউরিটি কোড দিতে হবে। তারপর ক্লিক করতে হবে ‘ভেরিফাই’ অপশনে।

আধার নম্বর সক্রিয় থাকলে মোবাইলে মেসেজ আসবে। সেখানে জানানো হবে আধারের স্টেটাস। এছাড়াও স্ক্রিনে আধার কার্ড হোল্ডারের বয়স, রাজ্য এবং মোবাইল নম্বরের শেষ তিনটি সংখ্যা দেখাবে। প্রসঙ্গত, আধারের স্ট্যাটাস পরীক্ষার জন্য ওটিপি-র প্রয়োজন নেই।

আর যদি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় তাহলে স্ক্রিনে ফুটে উঠবে ‘ডাজ নট এক্সিস্ট’। আধার নম্বর পুনরায় সক্রিয় করার পদ্ধতি: আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে চিন্তার কিছু নেই। এই পদ্ধতিতে পুনরায় সক্রিয় করা যাবে।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে আধার তালিকাভুক্ত কেন্দ্রে যেতে হবে। সেখানে জমা দিতে হবে আধার আপডেট ফর্ম। এর জন্যে চার্জ লাগবে ২৫ টাকা।

পুনরায় বায়োমেট্রিক্স যাচাই এবং আপডেট করা হবে। প্রসঙ্গত, অনলাইন বা পোস্ট অফিস মারফত এই কাজ করা যাবে না। আধার কেন্দ্রে যেতে হবে।