প্রাথমিক ভাবে মনে হতেই পারে- প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড লিঙ্ক করাটা যখন ব্যক্তিগত এবং একই সঙ্গে সরকারি তরফেও প্রয়োজনীয়, তখন টাকা দিয়ে তা করাতে হবে কেন! হক কথা! কারও মাথায় যদি এই প্রশ্ন আসে, তাহলে তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে না, তিনি উচিত প্রশ্নই তুলেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে দোষ দেওয়া যাবে সরকারকেও। বলা যাবে না যে আমাদের প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড লিঙ্ক করানোর নামে রাজকোষ ভর্তি করছে সরকার।
কেন না, সম্প্রতি নয়, বছর কয়েক আগেই দেশের সব নাগরিককে তাঁদের প্যান কার্ড আর আধার কার্ড লিঙ্ক করানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিল ভারত সরকার। সেই আবেদনে নাগরিকের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ নথি সংযুক্তির একটা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে সেই নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেই তাহলেই একমাত্র জরিমানা হিসাবে প্যান কার্ড আর আধার কার্ড লিঙ্ক করানোর সময়ে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিতে হবে।
মুশকিল হল, তাতেও আমাদের অনেকেরই হুঁশ ফেরেনি। ফলে, এবার বাধ্য হয়েই সেই জরিমানার অঙ্কটা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত সরকার, যাতে অন্তত অর্থদণ্ডের কথা বিবেচনা করে প্যান কার্ড আর আধার কার্ড লিঙ্ক করানোর কাজটা আমরা শেষ করে নিই। সেই সঙ্গে আর সময়সীমা বাড়ানো হয়নি, যাতে কোনও উপায়ই না থাকে। কোমল হয়ে দেখেছে সরকার, লাভ হয়নি- তাই এবার কঠোর হওয়ার পালা।
এর আগে কেন্দ্র ৩১ মার্চ ২০২২ সালে প্যান-আধার সংযুক্তির শেষ তারিখ ঘোষণা করেছিল। সেসময় যাঁরা এই কাজ করেননি তাঁদের ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। ১ এপ্রিল ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত প্যান-আধার সংযুক্ত করানোর জন্য ৫০০ টাকা ফি দিতে হয়েছিল। তারপর সময়সীমা আরও বাড়িয়ে ৩১ মার্চ ২০২৩ করা হয়। ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত যাঁরা এই সংযুক্তি করাচ্ছেন তাঁদের ১০০০ টাকা ফি দিতে হচ্ছে।