শনিবার পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেট ২০২০ পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন যে ব্যাঙ্ক যদি কোনও কারণে দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা পাবেন ৷ এর আগে ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স ১ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছিল ৷ ১৯৯৩ সালের পর ব্যাঙ্ক ডিপোজিট ইনস্যুরেন্সের সীমা ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে ৷ এরপরই মানুষের মনে একাধিক প্রশ্ন জেগেছে ৷ সবাই জানতে চাইছেন এরকম পরিস্থিতি যদি হয় তাহলে কী একাধিক অ্যাকাউন্টের জন্য ৫-৫ লক্ষ টাকা ইনস্যুরেন্স হিসেবে মিলবে ৷
৩১ মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত DICGC পাস হওয়া ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স হিসেবে ৯৭,৩৫০ কোটি টাকা ছিল যার মধ্যে ৮৭,৮৯০ কোটি টাকা সারপ্লাস ছিল ৷ DICGC ১৯৬২ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ক্লেম সেটেলমেন্ট হিসেবে ৫১২০ কোটি টাকা খরচ করেছে যা সরকারি ব্যাঙ্কের জন্য ছিল ৷ DICGC র আওতায় ২০৯৮ ব্যাঙ্ক রয়েছে যার মধ্যে ১৯৪১ ব্যাঙ্ক সরকারি ৷ বেশিরভাগ এই সমস্ত ব্যাঙ্কেই লিক্যুইডেশনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ৷
আর্থিক বছর ২০১৮-১৯ সালে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক-সহ সমস্ত কর্মাশিয়াল ব্যাঙ্ক DICGC এর কাছে ১১১৯০ কোটি টাকা ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স হিসেবে জমা করা হয়েছিল ৷ সরকারি ব্যাঙ্ক মাত্র৮৫০ কোটি টাকা জমা করেছিল ৷ এই ভাবে আর্থিক বছর ২০১৯ DICGC এর কাছে ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম হিসেবে ১২০৪০ কোটি টাকা ছিল ৷ এই বছর সরকারি ব্যাঙ্কের তরফে ৩৭ কোটি টাকা ক্লেম করা হয়েছে ৷
DICGC অ্যাক্ট ১৯৬১ ধারা ১৬(১) অনুযায়ী, কোনও ব্যাঙ্ক যদি ডুবে যায় বা দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে প্রত্যেক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে অধিকতম ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে ৷ একই ব্যাঙ্কে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে সমস্ত অ্যাকাউন্টের টাকা যোগ করে কেবল ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে ৷ অথার্ৎ একটি ব্যাঙ্কে কেবল ৫ লক্ষ টাকায় সুরক্ষিত থাকবে ৷ এতে Principal and Interest দুটি যোগ করে ৫ লক্ষ টাকা ধরা হবে ৷ মানে দুটি যোগ করে ৫ লক্ষের বেশি হলেও আপনার কেবল ৫ লক্ষ টাকা সুরক্ষিত মানা হবে ৷