যখন কোনও এলআইসি পলিসি মেয়াদ শেষের আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাকে বলে ‘সারেন্ডারিং পলিসি’। এই সময় যে টাকা পাওয়া যায় সেটা ‘পলিসি সারেন্ডার ভ্যালু’। লাইফ কভারযখন কোনও এলআইসি পলিসি মেয়াদ শেষের আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাকে বলে ‘সারেন্ডারিং পলিসি’। এই সময় যে টাকা পাওয়া যায় সেটা ‘পলিসি সারেন্ডার ভ্যালু’। তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ভবিষ্যতে ফের চালু করা যায় না। অনেকেই প্রশ্ন করেন, মেয়াদ শেষের আগে পলিসি সারেন্ডার করলে বা বন্ধ করে দিলে কত টাকা মিলতে পারে? স্বাভাবিকভাবেই সেটা ম্যাচুরিটি মূল্যের চেয়ে অনেক কম। এখন দেখে নেওয়া যাক ‘সারেন্ডার ভ্যালু’ কীভাবে গণনা করা হয়।
টানা ৩ বছর প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার পর পলিসি বন্ধ করলে ‘সারেন্ডার ভ্যালু’ পাওয়া যায়। অর্থাৎ যদি কেউ ২ বছর প্রিমিয়াম জমা দিয়ে পলিসি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তিনি সারেন্ডার ভ্যালু পাবেন না। ’ গণনা করার ফরমুলা রয়েছে। সেটা হল - {বেসিক অ্যাসিওরড (প্রদেয় প্রিমিয়ামের সংখ্যা/প্রদেয় প্রিমিয়ামের মোট সংখ্যা) এবং মোট প্রাপ্ত বোনাস} X দ্বারা গুণিত, যেখানে X হল সারেন্ডার ভ্যালুর ফ্যাক্টর।
গ্যারেন্টেড সারেন্ডার ভ্যালু (জিএসভি): গ্যারেন্টেড সারেন্ডার ভ্যালুর আওতায় ৩ বছর প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার পর পলিসি সারেন্ডার করা যায়। এর মানে হল ন্যূনতম ৩ বছর প্রিমিয়াম দিতেই হবে। তারপর পলিসি বন্ধ করলে সারেন্ডার ভ্যালু হবে, আজ পর্যন্ত জমা দেওয়া প্রিমিয়ামের ৩০ শতাংশ। মাথায় রাখতে হবে, এটা প্রথম বছরে প্রদত্ত প্রিমিয়াম এবং দুর্ঘটনাজনিত বেনিফিট রাইডারদের জন্য প্রদত্ত প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে। সুতরাং যত পরে করা হবে সারেন্ডার ভ্যালু তত বাড়বে।
স্পেশাল সারেন্ডার ভ্যালু: গ্যারেন্টেড সারেন্ডার ভ্যালুর চেয়ে স্পেশাল সারেন্ডার ভ্যালুর পরিমাণ বেশি। এটা ৩ ভাবে কাজ করে। ক) যদি পলিসি হোল্ডার ৩ বছরের বেশি কিন্তু ৪ বছরের কম সময়ের জন্যে প্রিমিয়াম পরিশোধ করেন তাহলে তিনি ম্যাচুরিটির পরিমাণের ৮০ শতাংশ টাকা পাবেন। খ) পলিসি হোল্ডার যদি ৪ বছরের বেশি কিন্তু ৫ বছরের কম সময়ের জন্যে প্রিমিয়াম পরিশোধ করেন তাহলে তিনি ম্যাচুরিটির পরিমাণের ৯০ শতাংশ টাকা পাবেন। গ) আর যদি কেউ ৫ বছরের বেশি প্রিমিয়াম দেন তাহলে তিনি ম্যাচুরিটির ১০০ শতাংশ টাকাই পাবেন।