সকালে ঘর ঝাঁট দেওয়ার সময়ে এই কয়েক কথা বলুন, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন, জীবনে কখনও টাকার অভাব হবে না
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
এমনিতেই ঝাঁটাকে জ্যোতিষে অতি পবিত্র এক বস্তু রূপে বিবেচনা করা হয়ে থাকে, মা লক্ষ্মীর প্রতীক বললেও অত্যুক্তি হবে না। কেন না, মা লক্ষ্মী অপরিচ্ছন্নতা একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। যে ঘর পরিষ্কার থাকে না, সেখানে তিনি পা রাখেন না। তাই বাড়ি পরিষ্কার রাখতেই হবে তাঁকে প্রসন্ন করতে হলে।
advertisement
ছবির গানের লক্ষ্মীপুজোর অঙ্গ হয়ে ওঠার প্রসঙ্গ আসলে মনের আকুতিতে। জ্যোতিষশাস্ত্রও সে কথাই বলছে। এটা ঠিক যে যে কোনও দেব-দেবীর পূজার নির্দিষ্ট মন্ত্র এবং আচার রয়েছে। কিন্তু, তারই সঙ্গে রয়েছে কিছু প্রাত্যহিক দিক, কেউ যদি ভক্তিভরে তা পালন করেন, তাহলেও ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায় বইকি! সকালবেলায় ঘর ঝাঁট দেওয়ার ব্যাপারটাও ঠিক সেরকমই। এমনিতেই ঝাঁটাকে জ্যোতিষে অতি পবিত্র এক বস্তু রূপে বিবেচনা করা হয়ে থাকে, মা লক্ষ্মীর প্রতীক বললেও অত্যুক্তি হবে না। কেন না, মা লক্ষ্মী অপরিচ্ছন্নতা একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। যে ঘর পরিষ্কার থাকে না, সেখানে তিনি পা রাখেন না। তাই বাড়ি পরিষ্কার রাখতেই হবে তাঁকে প্রসন্ন করতে হলে। (Representative Image)
advertisement
সেই জায়গা থেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাঁট দেওয়া এক সংস্কার। রয়েছে বাস্তব এক দিকও, গৃহিণীর থাকে হরেক কাজ, সকাল সকাল ঘর পরিষ্কার করে নিলে বাকি কাজ এগোতে সুবিধা হয়। তবে, জ্যোতিষ বলছে, কাজের লোক থাকলেও সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর নিজেরই ঝাঁট দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে মনে মনে কয়েকটা কথা বললে সংসারে মা লক্ষ্মীর বাস করবেন, জীবনে কখনও টাকার অভাব হবে না, পরিবারে সমৃদ্ধি বিরাজ করবে। (Representative Image)
advertisement
আসলে জ্যোতিষ মতে যখন ঘর ঝাঁট দেওয়া হয়, তখন আসলে তুমি দারিদ্র্য এবং নেতিবাচকতা দূর করা হয় বাড়ি থেকে। তাই এই সময়ে মনে মনে বলতে হবে, হে মা লক্ষ্মী, আমাকে আশীর্বাদ করুন। বলতে হবে, সংসার থেকে সকল দোষ দূর হোক, দারিদ্র্য দূর হোক, ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি স্থায়ী হোক। মন্ত্র জপ করার মতো করে ঘর ঝাঁট দেওয়ার সময়ে এই প্রার্থনা করতে হবে। এতে আপনার মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং মন শান্তও থাকবে। (Representative Image)
advertisement
অতএব, সকালে ঘর ঝাঁট দেওয়ার সময়ে মা লক্ষ্মীর আবাহন করতে হবে। মনে মনে তাঁকে নিজের বাড়িতে বাস করার অনুরোধ জানাতে হবে, দারিদ্র্য ধ্বংসের প্রার্থনা জানাতে হবে। ঘর ঝাঁট দেওয়ার পরে পুরো বাড়িতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে এবং ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে ঘর ঝাঁট দেওয়ার সময়ে সকল ঝগড়া এবং যন্ত্রণা দূর হোক, ভালবাসা এবং সুখের প্রাচুর্য থাক বলতে ভুললেও চলবে না। (Representative Image)
advertisement