বারবার কাজে বাধা আসছে? হতে পারে বাস্তুদোষ! নতুন বছরে অবশ্যই মেনে চলুন এই সহজ উপায়গুলো, বজায় থাকবে সুখ-সমৃদ্ধি
- Published by:Soumendu Chakraborty
Last Updated:
ইভিল আই প্রোটেকশন ফর হোম: নতুন বছরে যদি আপনি চান আপনার ঘরে সারা বছর সুখ, শান্তি ও উন্নতি বজায় থাকুক, তাহলে কুনজর ও নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, বছরের প্রথম দিনে করা ছোট ছোট কিছু উপায় পুরো বছরের পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে। এই প্রতিবেদনে আমরা জানাব, কীভাবে সহজ কিছু পদ্ধতি মেনে চলেই সারা বছর আপনার বাড়িকে নেতিবাচকতা থেকে রক্ষা করতে পারেন।
নতুন বছরের শুরু সবাই সুখ, শান্তি ও উন্নতির সঙ্গে করতে চান। বিশ্বাস করা হয়, বছরের প্রথম দিনে নেওয়া ছোট ছোট পদক্ষেপ পুরো বছরের পরিবেশ নির্ধারণ করে দেয়। তাই এই সময়ে ঘরকে কুদৃষ্টি ও নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে। বাস্তু শাস্ত্রে উল্লেখিত কিছু সহজ উপায় শুধু নেতিবাচক প্রভাব কমায় না, বরং ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহও বাড়ায়। নতুন বছরে এই উপায়গুলি মেনে চললে আপনার ঘর ভরে উঠবে শুভতা ও ইতিবাচকতায়।
advertisement
জ্যোতিষী অখিলেশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী কুদৃষ্টি ও বাস্তুদোষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যখন বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়, তখন তার প্রভাব পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য, মানসিক অবস্থা ও কাজকর্মের উপর পড়ে। বারবার কাজে বাধা আসা, পারস্পরিক টানাপোড়েন ও ক্লান্তির মতো সমস্যাগুলো এরই ইঙ্গিত হতে পারে। নতুন বছরে বাড়ির শক্তি শুদ্ধ করা জরুরি, যাতে সারা বছর ইতিবাচকতা বজায় থাকে এবং বাস্তুদোষের প্রভাব কমানো যায়।
advertisement
প্রধান দরজায় লেবু ও কাঁচা লঙ্কা ঝুলিয়ে রাখার প্রথা খুবই প্রাচীন। বাস্তু মতে, এই উপায় বাড়িতে কুদৃষ্টি ও নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ রোধ করে। একটি সুতোয় লেবু ও কাঁচা লঙ্কা গেঁথে দরজায় ঝুলিয়ে রাখলে বাইরের নেতিবাচক শক্তি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। নতুন বছরের দিনে এটি লাগানো বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয় এবং প্রতি সপ্তাহ বা মাসে একবার করে এটি বদলে নেওয়া উচিত।
advertisement
বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির প্রবেশদ্বারকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে ধরা হয়, কারণ এখান দিয়েই শক্তি ঘরে প্রবেশ করে। নতুন বছরে প্রধান দরজাটি পরিষ্কার রাখা এবং সেখানে পর্যাপ্ত আলো থাকা অত্যন্ত জরুরি। দরজার কাছে ময়লা, ভাঙা জুতো বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস রাখলে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। একটি সুন্দর নামফলক, পরিষ্কার পাপোষ ও হালকা সুগন্ধ ঘরে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে এবং কুদৃষ্টির প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
advertisement
নুনকে নেতিবাচক শক্তি শোষণকারী উপাদান হিসেবে ধরা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, সপ্তাহে অন্তত একবার বাড়িতে নুন মেশানো জল দিয়ে মুছলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে নতুন বছরের শুরুতে এই উপায়টি অনুসরণ করলে পুরনো নেতিবাচকতা দূর হয়। এতে বাড়ির পরিবেশ হালকা ও শান্ত মনে হয়। এই উপায়টি খুবই সহজ এবং কোনও খরচ ছাড়াই যেকোনও বাড়িতে পালন করা যায়।
advertisement
নতুন বছরে বাড়িতে হালকা পূজা করা, ধূপ বা আগরবাতি জ্বালানোও শুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, সুগন্ধে পরিবেশ শুদ্ধ হয় এবং ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে। সকাল বা সন্ধ্যায় কর্পূর, লোবান বা গুগুলের ধূপ জ্বালালে মানসিক শান্তি মেলে। এর ফলে বাড়িতে থাকা নেতিবাচক প্রভাব ধীরে ধীরে দূর হতে থাকে এবং পরিবারের সদস্যদের মনেও ইতিবাচকতা বজায় থাকে।
advertisement
বাস্তুশাস্ত্রে অগোছালো অবস্থাকে নেতিবাচক শক্তির প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়। নতুন বছরে পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া উচিত। ভাঙা বাসন, খারাপ ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ছেঁড়া কাপড় নেতিবাচকতা বাড়ায়। বাড়ি গুছিয়ে রাখলে শক্তির প্রবাহ সঠিক থাকে। পরিষ্কার ও সাজানো ঘর শুধু দেখতেই সুন্দর লাগে না, বরং কুদৃষ্টি ও বাস্তুদোষ থেকেও রক্ষা করে।








