কোন ফলে প্রসন্ন হন মা লক্ষ্মী? কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগে জেনে নিন তাঁর প্রিয় ফুল-ফলের নাম

আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো গৃহস্থদের জন্য অত্যন্ত শুভ৷ এই বিশেষ দিনের জন্য নির্দিষ্ট আচার আচরণ ও আহারবিধি আছে৷ মনে করা হয় এই জ্যোতিষ টোটকাগুলি পালন করলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদে ঘর সংসার ও পরিবারে উপচে পড়ে সুখ শান্তি ও আনন্দ৷

প্রত্যেক বাড়ি তথা পরিবারের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করা হয়৷ মনে করা হয় এই তিথিতে দেবীর লক্ষ্মীর পুজো করলে ধনসম্পদে ভরে থাকে গৃহস্থের সংসার৷

আগামী ৬ অক্টোবর, সোমবার পালিত হবে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো৷ ঘরে ঘরে পূজিত হবেন শ্রী সম্পদের দেবী লক্ষ্মী৷ সোমবার অহোরাত্র অর্থাৎ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারা দিনই পূর্ণিমা থাকছে৷

কোজাগরী লক্ষ্মীদেবীর আরাধনার তোড়জোড় চলছে। দশকর্মা ভান্ডার, ফল-ফুলওয়ালা, মিষ্টির দোকান সকলেই ব্যস্ত লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে পদ্ম ফুল মা লক্ষ্মীর খুব প্রিয়। এর বাইরে আরও অনেক ফুল আছে যা মা লক্ষ্মীর পছন্দ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, দেবী লক্ষ্মীকে কানের ফুল নিবেদন করতে হবে। এই ফুল নিবেদন করলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।

লক্ষ্মীপুজোয় সাদা ফুল একেবারে ব্যবহার করবেন না৷ লাল, গোলাপি কিংবা হলুদ রঙের ফুল মাকে অর্পণ করতে পারেন।

শাস্ত্র মতো গাঁদা ফুল ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়, যে কারণে তিনি দেবী লক্ষ্মীকে গাঁদা ফুল অর্পণ করে প্রসন্ন হন। তাই পুজোয় দিতে পারেন গাঁদা ফুল।

এছাড়া পানি ফল এবং পদ্মবীজ বা মাখানাও মা লক্ষ্মীর প্রিয় ফল হিসাবে পরিচিত। তাই লক্ষ্মীপুজোতে এই দুটি ফলও দেওয়া হয়।

হিন্দু ধর্মে নারকেলকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। কথিত আছে নারকেল লক্ষ্মীর প্রিয় ফল। একে শ্রীফল বলা হয় কারণ মা লক্ষ্মীর অপর নাম শ্রী। প্রসাদ হিসাবে মা লক্ষ্মীকে নারকেলের নাড়ু, কাঁচা নারকেল অর্পণ করা হয়।