তাই সব সময় সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলিয়ে ওঠে না। কিন্তু অসহ্য গরম তো আর বাঁধ মানে না। তা-ও এমন গরমে নিজের ঘরকে এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখার বেশ কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে।
এক্সজস্ট ফ্যাশনের ব্যবহার:রান্নাঘর এবং শৌচাগারে থাকা এক্সজস্ট ফ্যান চালিয়ে রেখে দিতে হবে। এটা তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা কমাতেও সাহায্য করবে এটি। ফলে অন্দরমহল হয়ে উঠবে আরামদায়ক। দুপুরের দিকে এক্সজস্ট ফ্যান চালিয়ে রেখে দিলে ঘরের গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যাবে। আর তা মনকে স্বস্তি দেবে।
সূর্যালোক আসার পথকে অবরুদ্ধ করাসারা দিন ধরে ঘরের জানলা আর দরজা বন্ধ করে রাখতে হবে। সূর্যালোক যাতে ঘরের মধ্যে না আসতে পারে, তার জন্য হালকা রঙের সুতির পর্দা ব্যবহার করতে হবে। ঘরের তাপমাত্রা আরও ঠান্ডা রাখার জন্য ইনস্যুলেটেড গ্লাস উইন্ডো লাগানো যেতে পারে।
ফ্যানের মাধ্যমে বায়ু চলাচল বজায় রাখা:জানলার সামনে একটি টেবিল ফ্যান চালিয়ে রাখতে হবে। এতে ঠান্ডা হাওয়া ঘরে ছড়িয়ে পড়বে। তবে ঘরকে আরও একটু ঠান্ডা করার জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে এক বাটি ঠান্ডা বরফ রেখে দিতে হবে।
দিনের বেলায় রান্নার কাজ না করাই ভাল:রান্নাঘরের অতিরিক্ত গরম এড়ানোর জন্য সকাল ১০ থেকে ১১টার মধ্যে রান্নার কাজ সেরে ফেলতে হবে। যখন অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ চলবে, সেই সময় মাইক্রোওয়েভ, ওভেন আর গ্রিল ব্যবহার করা চলবে না। এর জায়গায় বরং ঠান্ডা মরশুমি ফল আর শাকসবজি খেতে হবে।
আলো আর অ্যাপ্লায়েন্সের কম ব্যবহারবাল্ব অথবা টিউবের মতো অপ্রয়োজনীয় আলো বন্ধ রাখতে হবে। কারণ এর থেকে তাপ উৎপন্ন হয়। এটি ঘরকে ঠান্ডা তো করবেই, সেই সঙ্গে ইলেকট্রিসিটি বিলও কম আসে।
কুলিং বেডিংয়ের ব্যবহার:রাতে আরামে ঘুমোনোর জন্য সুতির অথবা লিনেন বেডশিট কিংবা বালিশের কভার ব্যবহার করতে হবে। কারণ এটি ময়েশ্চার শুষে নেয়। বায়ু চলাচল বজায় রাখে। জেল-ভিত্তিক বালিশ এবং কুলিং এয়ার ম্যাট্রেস প্যাড ব্যবহার করতে হবে।
দেহকে ঠান্ডা রাখা:হালকা রঙা এবং ব্রিদেবল ফেব্রিক ব্যবহার করতে হবে। তাই সুতির পোশাক পরার চেষ্টা করতে হবে। সিল্ক অথবা স্যাটিন ব্যবহার করা চলবে না। কবজি এবং ঘাড়ের মতো পালস পয়েন্টে আইস প্যাক প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ইন্ডোর প্ল্যান্টের ব্যবহার:ঘরের মধ্যে সবুজের ছোঁয়া আনতে হবে। তাই ঘরে ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখা আবশ্যক। কারণ ঘরে ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখলে তা তাপ শুষে নেবে এবং বাতাসকেও পরিশুদ্ধ করবে। আর ঘরের পরিবেশও থাকবে ঠান্ডা।