তাঁর কথায়, আলু দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকের বাড়িতেই অপরিহার্য এক সবজি। তাই যেমন ভাবনা অমনি কাজ।
উচ্ছসিত পাড়া প্রতিবেশীদের দাবি, সাধারণত পাথর কিংবা কাঠের উপর এমন কাজ দেখেছেন। কিন্তু চন্দ্রমুখী আলুর উপরও যে এত নিপুণভাবে প্রভুকে আঁকা যায়, এই প্রথমবার দেখা গেল।
সংসার সামলানোর পাশাপাশি মেকআপের কাজ সামলে তাঁর এই হাতের কাজ। এর আগেও একটি লাউয়ের উপর দুর্গা একেছিলেন রিতা দেবী।
লাল, কালো ও সাদা রং দিয়ে মুখের অবয়ব পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তবে, আলুর উপর রং করতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে তাঁকে।
প্রথমে ফেব্রিকের প্রলেপ দিয়ে শুকিয়ে তারপরে রঙ ধরেছে আলুতে। সবশেষে অলংকার ও সাজসজ্জার কাজে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।
এবিষয়ে রিতা দেবীর কথায়, "দু থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই কাঠ বা মাটি দিয়ে নয়, আস্ত আলুর উপর ফেব্রিক ও জরি দিয়ে জগন্নাথ দেবের মূর্তি তৈরি করেছেন তিনি।"
বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সাজের কাজের শিল্পী সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তাই এই কাজে রিতা দেবী নিজেকে মনোনিবেশ করেছে। ভবিষ্যতে সে এই ধরনের কাজ আরও বেশি করে করতে চায়।