প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হলেন ২০১৪ সালের ব্যাচের আইএফএস অফিসার নিধি তিওয়ারি। ডেপুটি সেক্রেটারির পদের দায়িত্বভার নিয়ে ২০২২ সালে প্রথম কাজ করতে শুরু করেন পিএমও-তে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর দফতরেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন নির্দ্বিধায়। মাত্র তিন বছরেই তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং দূরদর্শিতা মুগ্ধ করে নরেন্দ্র মোদিকে। বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ মোদির নজরে আসেন নিধি তিওয়ারি। মাত্র ১০ বছরের প্রশাসনিক কর্মজীবনে নিধি তিওয়ারির সাফল্য চোখে পড়ার মতো। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর মেহমুরগঞ্জ এলাকার মেয়ে নিধি তিওয়ারি। স্কুল জীবন শেষ করে বায়োলজিতে বিএসসি পাস করেন এবং পরে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে গোল্ড মেডেল পেয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকেই সিভিল সার্ভিসের প্রতি আগ্রহী নিধি থেমে থাকেননি পড়াশোনার গণ্ডিতে। ২০০৬ সালে ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরও ঝোঁক থেকে যায় সিভিল সার্ভিসে। বিজ্ঞানীর চাকরি ছেড়ে তৈরি হন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরিক্ষার জন্য়। ২০০৬ সালেই বিয়ে করেন চিকিৎসক ডঃ সুশীল জয়সওয়ালকে। তারপর ইউপিএসসি-তে গোটা দেশে ৯৬ তম স্থান অধিকার করে,২০১৪ সালে যোগ দেন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে। তারপর তাঁর উত্থানের গ্রাফ শুধুই ঊর্ধ্বমুখী। বিদেশমন্ত্রকের নিরপত্তা, বৈদেশিক নীতি এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগেও সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা অজিত দোভালের সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভর্তি করেছেন নিধি তিওয়ারি।