TRENDING:

West Burdwan News: সরস্বতীর বরপুত্র, ভারতের সবচেয়ে খুদে বিজ্ঞানী ফিরিয়েছে নাসা-হার্ভার্ডের ডাক!

Last Updated:
নিজের ফর্মুলা কাজে লাগিয়ে, বিশেষ সংশ্লেষণ পদ্ধতির মাধ্যমে বায়োপ্লাস্টিক তৈরি করছেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী।
advertisement
1/6
সরস্বতীর বরপুত্র, ভারতের সবচেয়ে খুদে বিজ্ঞানী ফিরিয়েছে নাসা-হার্ভার্ডের ডাক
একাদশ শ্রেণির ছাত্র। অন্যান্য সাধারণ পড়ুয়াদের মতোই তার জীবন যাপনের ধরন। তবে একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়া 'সুপার থার্টির' তালিকাভুক্ত। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই একাধিক রেকর্ড করে ফেলেছেন তিনি। ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কার। কাজ করার সুযোগ এসেছে নাসা থেকে। কাজের সুযোগ এসেছে হাভার্ড ইউনিভার্সিটির জার্নালে কাজ করার। কিন্তু এই সমস্ত সুযোগকে আপাতত দূরে সরিয়ে রেখে একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্র চান ভারতের হয়ে ইসরোতে কাজ করতে। একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়ার নাম অপরূপ রায়। দুর্গাপুরের গোপাল মাঠের বাসিন্দা। সম্প্রতি বায়োপ্লাস্টিক বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন খুদে বিজ্ঞানী। যা নিয়ে চর্চায় উঠে এসেছে ভারতবর্ষের সবচেয়ে খুদে বিজ্ঞানীর নাম। কিন্তু তার ঝুলিতে রয়েছে আরও একাধিক খেতাব।
advertisement
2/6
হৃত্বিক রোশন অভিনীত সুপার থার্টি সিনেমায় যে ম্যাথমেটিক্যাল গ্যাজেট ম্যাগাজিনের কথা তুলে ধরা হয়েছিল, সেখানে নাম রয়েছে এই খুদে বিজ্ঞানীর। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ একজন বিজ্ঞানী হিসেবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কঠিন একটি ম্যাথমেটিক্যাল সলিউশন করে দিয়েছিলেন একাদশ শ্রেণির ছাত্র অপরূপ রায়। অপরূপের নাম রয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। তাছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন খেতাব। একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়া ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য রসায়ন বিভাগের দুটি বই। ইসরোর আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় র‍্যাঙ্ক করে পুরস্কার পেয়েছেন এই ছাত্রটি।
advertisement
3/6
এই মুহূর্তে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ৭৫ মাইক্রোনের নিচে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। তেমন সময়ে বায়োপ্লাস্টিক বানিয়েছেন অপরূপ রায়। তবে অপরূপ এই কাজের শুরু করেছিলেন বছর তিনেক আগে থেকে। যখন অপরূপের মাথায় রিসার্চ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা আসে, তখন হয়েছিল এই কর্মকাণ্ডের বীজ বপন। অপরূপ অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় জলের অনুকনা নিয়ে রিসার্চ করে একটি নতুন ফর্মুলা তৈরি করেছিলেন। যেখানে তিনি দেখিয়েছিলেন, জলের অনুকনাগুলির মধ্যে আঘাত লাগলে, ওয়াটার মলিকিউল গুলির পরিবর্তন হয়। এটাই ছিল অপরূপের প্রথম রিসার্চ। যা হবার্ড ইউনিভার্সিটির একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়। সেই ফর্মুলা কাজে লাগিয়ে, বিশেষ সংশ্লেষণ পদ্ধতির মাধ্যমে বায়োপ্লাস্টিক তৈরি করছেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী। যদিও সেই কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি বলে জানিয়েছেন অপরূপ।
advertisement
4/6
অপরূপ রায় আপাতত একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। দুর্গাপুরের গোপাল মাঠের বাসিন্দা। অপরূপ রায়ের বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র অপরূপের, লক্ষ্য আগামী দিনে পড়াশোনা করার জন্য আইআইটিতে ভর্তি হওয়ার। যার প্রস্তুতি প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন অপরূপ। পাশাপাশি চলছে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার প্রস্তুতি।
advertisement
5/6
অন্যদিকে অপরূপ সমান তালে অনলাইনে চালিয়ে যাচ্ছেন নাসার হয়ে কাজ। যদিও এই কাজের জন্য কোনও পারিশ্রমিক নেন না বলেই জানিয়েছেন অপরূপ রায়। তিনি চান, ভারতের সংস্থা ইসরোর হয়ে কাজ করতে। দেশে থেকে দেশের সেবা করতে চান তিনি। সেজন্যই দেশের সবথেকে খুদে এই বিজ্ঞানী হাসিমুখে ফিরিয়ে দিয়েছেন নাসার অফিসে গিয়ে কাজ করার সুযোগ। আমেরিকা যেতে হবে বলে, হাসিমুখে ফিরিয়ে দিয়েছেন হাভার্ড ইউনিভার্সিটি'র জার্নালে এডিটর হওয়ার সুযোগ।
advertisement
6/6
অপরূপের কর্মকাণ্ডের শেষ নয় এখানে। একমাত্র বাঙ্গালী হিসেবে অপরূপ প্রাইড অফ বেঙ্গল অ্যাওয়ার্ড পেতে চলেছেন। তার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাকি রয়েছে শুধু পুরস্কার গ্রহণ করা। অন্যদিকে সীমিত সংখ্যক ভারতবাসীর মধ্যে একজন হিসাবে Crown of Excellence পুরস্কার পেয়েছেন অপরূপ। ইসরো আয়োজিত সাইবারস্পেস প্রতিযোগিতায় দেশের মধ্যে ১১ তম স্থান দখল করেছেন তিনি। তিনটি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা, ইএসএ এবং জাক্সার হেক্সাটন প্রজেক্টে কাজ করেছেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা, সরস্বতীর বরপুত্র তথা ভারতের সবচেয়ে খুদে বিজ্ঞানী। আপাতত অপরূপ রায় চান, দ্বাদশ শ্রেণীর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। সঙ্গে ইসরোর হয়ে কাজ করার চেষ্টায় আছেন অপরূপ। একইসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে এই মুহূর্তে অপরূপের অন্যতম লক্ষ্য বায়োপ্লাস্টিক প্রজেক্ট এর কাজ দ্রুত শেষ করা।
বাংলা খবর/ছবি/পশ্চিম বর্ধমান/
West Burdwan News: সরস্বতীর বরপুত্র, ভারতের সবচেয়ে খুদে বিজ্ঞানী ফিরিয়েছে নাসা-হার্ভার্ডের ডাক!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল