TRENDING:

RPM : বাইক বা গাড়ির RPM আসলে কী? কেন সেখানে লাল চিহ্ন থাকে? একটু এদিক-ওদিক হলেই ইঞ্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতি!

Last Updated:
Bikes : RPM বোঝা কেবল জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্যই নয় বরং ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ কাজের গতি প্রতিফলিত করে। 
advertisement
1/6
বাইক বা গাড়ির RPM আসলে কী? কেন সেখানে লাল চিহ্ন থাকে?
যখন আমরা গাড়ির অ্যাক্সিলারেটর প্যাডেলে চাপ দিই, অথবা বাইকের থ্রটল বাড়াই, তখন আমরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া আশা করি। কিন্তু এর পিছনে একটি জটিল প্রকৌশল প্রক্রিয়া রয়েছে, যা গাড়ির ইঞ্জিনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। গাড়ির গতি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিন আরও শক্তি উৎপন্ন করতে শুরু করে এবং এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বোঝার জন্য ড্রাইভারের ড্যাশবোর্ডে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চাকা থাকে। একটি হল স্পিডোমিটার, যা আমাদের বলে যে গাড়িটি কত দ্রুত চলছে (কিমি/ঘণ্টায়), এবং অন্যটি প্রায়শই উপেক্ষা করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ, এটি হল ট্যাকোমিটার, যা আমাদের RPM বলে দেয়। বেশিরভাগ নতুন চালক স্পিডোমিটারের উপর মনোযোগ দেন, তবে RPM বোঝা কেবল জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্যই নয় বরং ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ কাজের গতি প্রতিফলিত করে।
advertisement
2/6
RPM: ইঞ্জিন পালস (ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট গতি)- RPM বলতে কেবল প্রতি মিনিটে ঘূর্ণন বোঝায়। এটি বলে যে ইঞ্জিনের ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট এক মিনিটে কতবার ঘোরে। ইঞ্জিনের পিস্টনগুলি এই ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্টের প্রতিটি ঘূর্ণনের সঙ্গে সঙ্গে পিস্টনগুলি উপরে এবং নীচে সরে যায়, ইঞ্জিনের শক্তি উৎপন্ন করে। সুতরাং, RPM ইঞ্জিনের গতির সঠিক অনুমান দেয়।
advertisement
3/6
ট্যাকোমিটার কীভাবে পড়া যাবে- ট্যাকোমিটারে প্রদর্শিত সংখ্যাগুলি প্রায়শই x১০০০s ফর্ম্যাটে থাকে। যদি ট্যাকোমিটারের কাঁটা ১-এ থাকে (এবং মিটার x১০০০ পড়ে), তাহলে এর অর্থ হল ইঞ্জিনটি ১০০০ RPM-এ চলছে। অর্থাৎ, ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট প্রতি মিনিটে ১০০০ বার ঘুরছে। কেউ যখন অ্যাক্সিলারেটর টিপবে এবং গাড়ির গতি বৃদ্ধি পাবে, RPM কাঁটাওও আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বেশিরভাগ গাড়িতে ট্যাকোমিটার ১ থেকে ৮ পর্যন্ত একটি সংখ্যা প্রদর্শন করে, যার অর্থ ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ৮০০০ RPM-এ পৌঁছাতে পারে। তবে, স্বাভাবিক এবং আরামদায়ক ড্রাইভিংয়ের সময় ইঞ্জিনটি সাধারণত ২০০০ থেকে ৩০০০ RPM-এর মধ্যে কাজ করে।
advertisement
4/6
RPM এবং লাল চিহ্ন- ট্যাকোমিটারে একটি লাল চিহ্ন থাকে, যা প্রায়শই ৭ বা ৮-এর মতো উচ্চ RPM মান থেকে শুরু হয়। এই চিহ্নটি ঘূর্ণনের নিরাপদ সীমা নির্দেশ করে। যখন কাঁটা এই লাল চিহ্নে পৌঁছায় (উদাহরণস্বরূপ, ৭০০০ RPM), তখন ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট খুব দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। এত উচ্চ গতির ফলে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হতে পারে, যার ফলে অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলিতে অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে। লাল চিহ্নে পৌঁছানো একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে ইঞ্জিনের গুরুতর ক্ষতির ঝুঁকি বেড়েছে।
advertisement
5/6
গিয়ারবক্সে প্রভাব- ম্যানুয়াল গাড়ি: কেউ যদি ম্যানুয়াল গাড়ি চালায়, তাহলে ৭০০০ RPM থেকে ২০০০ RPM-এ যাওয়ার জন্য গিয়ারগুলি একের পর এক ডাউনশিফ্ট করতে হবে। এটি ধীরে ধীরে সুইটি নীচে নামিয়ে আনে।
advertisement
6/6
স্বয়ংক্রিয় গাড়ি: স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে লাল চিহ্নে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সেন্সরগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে RPM-কে নিরাপদ অপারেটিং মোডে নামিয়ে আনার জন্য উপরে উঠে যায়। কিছু উচ্চ-পারফরম্যান্স স্পোর্টস গাড়িতে এই RPM সীমা এমনকি ১০,০০০ পর্যন্তও যেতে পারে।
বাংলা খবর/ছবি/প্রযুক্তি/
RPM : বাইক বা গাড়ির RPM আসলে কী? কেন সেখানে লাল চিহ্ন থাকে? একটু এদিক-ওদিক হলেই ইঞ্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতি!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল