Jamui News: ‘রাখে হরি মারে কে’- গিয়েছিল লুঠতে, কিন্তু শেষমেশ এ কী হল, ভাবতেও পারবেন না...
- Published by:Ananya Chakraborty
- local18
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Jamui News: ঠিক কী হয়েছিল? আসলে জামুই জেলার সদর ব্লক এলাকার বারুয়াট্টার বাসিন্দা দীপক কুমার। তাঁকেই কল করেছিল সাইবার জালিয়াত।
advertisement
1/8

সাইবার অপরাধের নানা ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত সামনে আসে। এরই মাঝে জানা গিয়েছে, এক যুবককে ফোন করেছিল এক সাইবার প্রতারক। ফোন করে যুবককে সে বলেছিল যে, “আপনার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। আমি ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে কথা বলছি। আর এই মামলা থেকে ছাড় পেতে আমায় ১২৭০০ টাকা পাঠিয়ে দিন।”
advertisement
2/8
কিন্তু তারপর যা হল... সেটা স্বপ্নেও ভাবেনি ওই সাইবার জালিয়াত! আসলে সে যে যুবককে কল করেছিল, সেই যুবকই তাকে প্রতারণা করেছেন। উল্টে প্রতারককেই টাকা পাঠাতে বলেন যুবক। আসলে এই পরিস্থিতিতে মাথা একদম ঠান্ডা রেখে ওই যুবক নিজের স্টাইলে প্রতারককে জবাব দিয়েছেন। জামুই জেলার ঘটনা এটি।
advertisement
3/8
ঠিক কী হয়েছিল? আসলে জামুই জেলার সদর ব্লক এলাকার বারুয়াট্টার বাসিন্দা দীপক কুমার। তাঁকেই কল করেছিল সাইবার জালিয়াত। দীপকের কথায়, “হোয়াটসঅ্যাপে কল করেছিল সাইবার অপরাধী। সে বলে যে, ‘আপনি তো একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আর সেই মেয়েটি আত্মঘাতী হয়েছেন। এবার তো আপনার গ্রেফতারি কেউ আটকাতে পারবেন না। আপনি যদি গ্রেফতার হতে না চান, তাহলে আমাকে এখনও ১২ হাজার ৭০০ টাকা এখনও পাঠিয়ে দিন’।”
advertisement
4/8
এখানেই শেষ নয়, এরপর সেই অজ্ঞাতপরিচয় কলার দীপককে ভুয়ো এফআইআর এবং অন্যান্য নথিপত্র পাঠাতে থাকে। এর পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষকে গ্রেফতার করার ভুয়ো ছবিও পাঠানো হয় ওই যুবককে। এভাবেই প্রতারণার জাল পেতেছিল ওই সাইবার অপরাধী। কিন্তু দীপক প্রতারকের কথার জালে না ফেঁসে বরং মাথা ঠান্ডা রাখতে পেরেছিলেন। সাইবার জালিয়াতকে উল্টে দীপক বলেন যে, তিনি কোথাও চাকরি করেন। কিন্তু এখনও তাঁর বেতন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সেই পরিমাণ জরিমানার টাকা দিতে গেলে তাঁকে ধার নিতে হবে।
advertisement
5/8
এরপর দীপক ওই জালিয়াতের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা ধার চান। বলেন যে, তিনি এখন বিহারে নেই। বরং ঝাড়খণ্ডে রয়েছেন। তাই তাঁর হাতে একটা টাকাও নেই। সাইবার অপরাধীকে দীপক আরও বলেন যে, তিনি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে একজন যুবক টাকা দিতে রাজি হয়েছেন।
advertisement
6/8
কিন্তু তাঁর বাড়ি ৪০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে পৌঁছতে গেলে গাড়ি ভাড়া করতে হবে। কিন্তু সেই ভাড়ার টাকা তাঁর কাছে নেই। দীপকের এই কথার জালে ফেঁসে সাইবার অপরাধী উল্টে দীপককে ৫০০ টাকা দেয়। এরপর সেই টাকা তোলার নাম করে দীপক আরও ৫০ টাকা চান।
advertisement
7/8
সাইবার অপরাধী সেই টাকা পাঠিয়েও দেন। কিন্তু প্রায় ঘণ্টাখানেক পর দীপক আবারও সাইবার অপরাধীকে কল করেন। বলেন, যাঁর থেকে টাকা নেওয়ার কথা ছিল, তিনি আগে থেকেই দীপকের কাছে ধার নিয়ে রেখেছিলেন। ফলে সেই টাকা না মেটালে নতুন করে আর তিনি টাকা দেবেন না। এই কথা শুনে দীপককে আবার ১০০০ টাকা পাঠায় ওই অপরাধী। এভাবে সাইবার অপরাধীর থেকে দীপক ১৫৫০ টাকা আদায় করে নেন।
advertisement
8/8
এই ধরনের সাইবার অপরাধের ঘটনা সামনে আসতেই থাকে। নতুন নতুন কায়দায় জাল পাতে অপরাধীরা। আর দীপক ঠান্ডা মাথায় সচেতন হয়ে এই প্রতারণা রুখতে পেরেছেন। যদি সাইবার প্রতারণার জন্য কেউ ফোন করে, তাহলে তাদের কথায় পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর পাশাপাশি ১৯৩০ নম্বরে কল করে সাইবার প্রতারণার অভিযোগও জানানো যেতে পারে।