Ukraine Bans Telegram: পেজার-ওয়াকি টকির পরে এবার যুদ্ধের অস্ত্র হয়ে উঠল এই মেসেজিং অ্যাপও? নিষিদ্ধ করল এই দেশ
- Published by:Ananya Chakraborty
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Ukraine Bans Telegram: ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের মতে, এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
advertisement
1/7

গত শুক্রবার Telegram মেসেজিং অ্যাপের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল ইউক্রেন। ফলে সে দেশের সরকারি আধিকারিক, সেনা আধিকারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীরা এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের মতে, এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ তাদের বিশ্বাস, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কী বার্তা বা মেসেজ পাঠানো হচ্ছে, তার উপর নজরদারি চালাতে পারে রাশিয়া। এমনকী এর ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপের উপরেও নজর রাখতে পারে রাশিয়া।
advertisement
2/7
আসলে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলের সামনে ইউক্রেনের জিইউআর মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান কিরিলো বুদানভ প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, Telegram হ্যাক করতে পারে রাশিয়ান স্পেশাল সার্ভিস। এরপরেই এই অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে ইউক্রেন। কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র অফিসিয়াল ডিভাইসগুলির উপরেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হতে চলেছে। যদিও এই নিষোধাজ্ঞার প্রভাব অবশ্য সে দেশের সাধারণ মানুষের উপর পড়বে না।
advertisement
3/7
আসলে ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই দেশেই Telegram অ্যাপ ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উৎস হয়ে উঠেছিল এই অ্যাপটি। যদিও যুদ্ধের কালে এর ব্যবহার নিয়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তা আধিকারিকেরা বারংবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
advertisement
4/7
বুদানভ একটি বিবৃতিতে বলেন যে, আমি সব সময় মতামতের স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু টেলিগ্রামের বিষয়টি স্বাধীনতার নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার। টেলিমেট্রিও ডেটাবেস অনুযায়ী, ইউক্রেনে প্রায় ৩৩০০০ সক্রিয় Telegram চ্যানেল রয়েছে।
advertisement
5/7
সিকিউরিটি কাউন্সিলে থাকা প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য সেনা কম্যান্ডাররা প্রতিনিয়ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুদ্ধের আপডেট এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ভাগ করে নিতেন। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমের মতে, ৭৫ শতাংশ ইউক্রেনের বাসিন্দাই এই অ্যাপ ব্যবহার করেন। আবার ৭২ শতাংশ মানুষ এটাকে তথ্যের উৎস বলে গণ্য করেন।
advertisement
6/7
প্রসঙ্গত Telegram চালু হয়েছিল দুবাইয়ে। অ্যাপটি তৈরি করেছিল রাশিয়ার পাভেল দুরভ। এরপর ২০১৪ সালে যখন তাঁকে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম VKontakte-তে বিরোধী সম্প্রদায়গুলিকে বন্ধ করতে বলা হয়েছিল, তখন তিনি রাশিয়া ছেড়ে বেরিয়ে যান।
advertisement
7/7
বর্তমানে এই প্ল্যাটফর্ম বিক্রি করে দিয়েছেন দুরভ। ফ্রান্সে পা রাখার পরেই অগাস্টে দুরভকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দুরভের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, Telegram চাইল্ড পর্নোগ্রাফি এবং মাদকের ব্যবসা বন্ধ করার জন্য কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তিনি।