আপনার সাধের ফোনটি চোরাই নয় তো? কিন্তু বুঝবেন কীভাবে? এক SMS-এই জানুন ফোনের সবকিছু 'এইভাবে'...
- Published by:Ananya Chakraborty
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Phone Buying Tips: আপনি কি সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনবেন ভাবছেন? সাবধান! চুরির মোবাইল বাজারে বিক্রি হওয়া এখন সাধারণ ব্যাপার। জেনে নিন যাচাই করার সহজ উপায়
advertisement
1/9

আজকাল ভারতে সেকেন্ড-হ্যান্ড মোবাইল ফোনের বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেকেন্ড-হ্যান্ড স্মার্টফোনের বাজারে ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন কিনতে পারেন। যদিও এই পুরনো সার্ভিস করা বা রিসেল করা মোবাইল ফোনের মান নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। তবে ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য এই ধরনের ফোনগুলি কিনতে পছন্দ করেন। আর বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং অ্যাপ থেকে সেকেন্ড-হ্যান্ড মোবাইল ফোন কেনা যেতে পারে।
advertisement
2/9
তবে এই ফোনগুলি কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া উচিত যে, এইগুলি চোরাই মাল কি না। অন্যথায় এই ধরনের ফোন কিনলে ক্রেতারাই সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন। এমনকী তাঁরা আর্থিক বা তথ্য সংক্রান্ত ঝুঁকির সম্মুখীনও হতে পারেন।
advertisement
3/9
সাধারণত Amazon, Flipkart এবং অন্যান্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিতে আসল রিফার্বিশ করা মোবাইল ফোন কিনতে পাওয়া যায়। এই সেকেন্ড-হ্যান্ড মোবাইলগুলি প্রায়শই স্যাম্পল বা ডামি ইউনিট হয়। আর এই প্ল্যাটফর্মগুলি সাশ্রয়ী মূল্যেই এই স্মার্টফোনগুলি বিক্রি করে থাকে।
advertisement
4/9
তবে, অনেক ক্রেতাই রয়েছেন, যাঁরা সেকেন্ড-হ্যান্ড ফোন কেনার জন্য অফলাইন মার্কেটই বেশি পছন্দ করেন। এমন পরিস্থিতিতে কেনার আগে ক্রেতাকে অবশ্যই এর উৎস একবার যাচাই করে নিতে হবে। সরকার শুধুমাত্র একটি SMS-এর মাধ্যমে ফোনের মান পরীক্ষা করার সুযোগ করে দিয়েছে।
advertisement
5/9
কীভাবে যাচাই করা যাবে? ১. এটি যাচাই করার জন্য ক্রেতাকে প্রথমে ফোনের IMEI নম্বর জানতে হবে, যা সাধারণত ফোনের বাক্সে লেখা থাকে। ২. ধরা যাক, গ্রাহক যে ফোন কিনছেন, তার যদি বক্স না থাকে, তাহলে ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে, *#06# টাইপ করতে হবে এবং সেন্ড বা কল অপশনে প্রেস করতে হবে।
advertisement
6/9
৩. গ্রাহক স্ক্রিনে একটি ১৫-সংখ্যার IMEI নম্বর দেখতে পাবেন। ৪. IMEI নম্বরটি নোট করার পরে, গ্রাহককে নিজের মেসেজ অ্যাপে যেতে হবে।
advertisement
7/9
৫. তারপর গ্রাহককে 14422 নম্বরে একটি মেসেজ পাঠাতে হবে। ৬. মেসেজটির মূল অংশে KYM টাইপ করে একবার স্পেস দিতে হবে এবং তারপর ১৫-সংখ্যার IMEI নম্বরটি টাইপ করতে হবে। বিষয়টা উদাহরণ দিয়ে বলা যাক। মেসেজটি হবে অনেকটা এই রকম - KYM 123456789012345।
advertisement
8/9
৭. এরপরে সেই মেসেজটিকে 14422 নম্বরে পাঠিয়ে দিতে হবে। ৮. মেসেজটি পাঠানোর পরে সরকার কর্তৃক একটি মেসেজ ফোনে আসবে। যা ক্রেতাকে জানাবে যে, ফোনটি চুরি হয়েছে কি না।
advertisement
9/9
যদি মেসেজে ব্ল্যাকলিস্টেড লেখা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে, এই ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছে এবং এর IMEI নম্বরটি ব্ল্যাকলিস্টেড করা হয়েছে। মাথায় রাখতে হবে যে, চোরাই ফোন কিনলে কিন্তু ক্রেতারা আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। তাই ফোন কেনার আগে ফোনটি ভাল ভাবে পরীক্ষা করেই কেনা উচিত।