Social Media Trolls: সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার? সামলাবেন কীভাবে?
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:JULFIKAR MOLLA
Last Updated:
ট্রোলে অন্যতম বড় প্রভাব পড়ে একাগ্রতা ও মনঃসংযোগে। তার সঙ্গে যুঝতে পারার নিয়ম জেনে নিন
advertisement
1/6

বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে একে অপরের বিভিন্ন বিষয়ে ট্রোল যা সম্প্রতি সময়ের একটি নতুন ব্যাধি বলা যেতে পারে। ট্রোল একটা সীমারেখা পর্যন্ত মানানসই হলেও টা সীমা অতিক্রম কোরলে অনেকেই সামলাতে পারেন না। আর এই ট্রোলের শিকার হয়ে অনেকে বিদ্ধস্ত হয়ে পাড়েন এমন কি অনেকেই আত্মাহত্যার বেছে নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মাত্র পোস্ট সেটাতে কেউ কথা,আর তারপর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে।
advertisement
2/6
বাড়ির বাইরে কিংবা অফিসে ঢোকার আগেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। একসময় এমন ধরনের কুকথা বা বিরূপ মন্তব্যের টুকটাক চালু ছিল রাস্তাঘাটে, আত্মীয়স্বজনের মহলে। কিন্তু বর্তমানে তো উঠে এসেছে ব্যক্তিগত পরিসর ছাড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে একেবারে অচেনা অজানা এমন নানা ব্যক্তি এসেও খারাপ মন্তব্য করে যান। আর যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে নিজের ব্যাক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়তে শুরু করে। যা মনের অবস্থার দফারফা।
advertisement
3/6
এমনকী আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। মূলত,ট্রোলারদের মধ্যে সাইকোপ্যাথ বা অন্যকে দুঃখ পেতে দেখে আনন্দ পান এমন মানসিকতার মানুষ বেশি। নারী-পুরুষ যে সমান তালে ট্রোল করেন। এমনকী, মনে করা হয়, যাঁরা ট্রোল করেন তাদের মনে সহমর্মিতা ও অন্যকে বোঝার ক্ষমতা কম। অপর দিকে দুর্বল মানসিকতা, নিজেকে নিয়ে মেতে থাকা মানসিকতা, প্রবল আত্মসম্মানবোধ, ইগোইস্ট মানুষ ট্রোলের শিকার হলে বেশি সমস্যাগ্রস্ত হন।
advertisement
4/6
ট্রোলে অন্যতম বড় প্রভাব পড়ে একাগ্রতা ও মনঃসংযোগে। অচেনা ব্যক্তির রুচিহীন আক্রমণ পরপর ধেয়ে এলে এমন বিক্ষিপ্ত হয়। যতক্ষণ না সেই পাল্টা উত্তর দেওয়া যাচ্ছে, তার জের চলতেই থাকে। আর সোশ্যাল সাইটে যেহেতু মন্তব্যের কোনও সময়সীমা থাকে না, তাই দেখা যায় একই পোস্টের মন্তব্য চলতেই থাকে অবিরাম।
advertisement
5/6
কাজের ফাঁকে মন ছুটে যায় সেই মন্তব্যগুলোর দিকে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বারবার সোশ্যাল সাইট খুলে সেসব মন্তব্য দেখতে থাকে মানুষ। এগুলোতে মনের ক্ষতি যেমন হয়, মনোযোগেও সমস্যা হয়। সামাজিক মাধ্যমে ট্রোল সংস্কৃতি নতুন নয়। তবে আজও তাকে সামলাতে পারবেন পরামর্শ দিলেন মনোবিদ ভাস্কর মিত্র বলেন, এমন সমস্যা হলে বিষয়টিকে উপেক্ষা করুন।
advertisement
6/6
বিতর্কিত বিষয় নিয়ে পোস্ট করলে বা মন্তব্য করলে ট্রোল হতে পারে, এই প্রস্তুতি রাখুন। এতে ট্রোলের উত্তর দেওয়া সহজ হবে ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা যাবে। এমন সময়ে নিজেকে সকলের কাছে জাহির করার প্রয়োজন নেই। লোকের কথা গায়ে না মাখাই এর সর্বোত্তম উপায়। নিজের সম্মান, নিজের ইমেজ নিজের কাছে ভাল রাখুন। ট্রোলারদের হালকা ভাবেই নিন। সম্ভব হলে তাদের মন্তাব্যকে নিয়েই আপনি রসিকতা করুন, তবে সেটা যেন শালীনতা বজায় রেখে। (তথ্য-জুলফিকার মোল্লা)