India vs Pakistan High Alert: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত আবহে ছবি-ভিডিও পোস্ট নিয়ে 'বড় অ্যালার্ট'! সর্বস্ব খোয়াতে পারেন 'এই' সব করলে

ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও এবং পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভেরিফায়েড নয়, এমন উৎস থেকেই সেগুলি ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই হয়তো উদ্বেগ অথবা কৌতূহল থেকে পোস্ট শেয়ার করছেন, কিন্তু এই ধরনের কন্টেন্ট অনিচ্ছাকৃত ভাবে সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে দিতে পারে, যার অপব্যবহার হতে পারে।

তাই সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে সেনাবাহিনীর বর্ষীয়ান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ধিলোঁ লিখেছেন, একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হওয়ার এটাই সময়। তিনি সতর্ক করে জানান যে, অনলাইনে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ শত্রুরা তথ্য পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত নজর রাখছে। তাই তাঁর পরামর্শ, সেনাবাহিনীর গতিবিধি, স্থান, কোথায় মোতায়েন অথবা বাহিনীর ধরন- এই সংক্রান্ত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত তথ্য ভাগ করে নেওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যেসব জায়গায় উচ্চ অ্যালার্ট জারি রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের জন্যই এই নির্দেশ।

সাইবার নিরাপত্তা: সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি ক্রমবর্ধমান। হ্যাকাররা ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগাচ্ছে। এটি একটি গুরুতর বিপদ হিসেবে কাজ করে। কারণ সাইবার অপরাধীরা স্মার্টফোনে আনঅথোরাইজড অ্যাক্সেস লাভ করে।

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে নিজেদের কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (CERT-In)-এর মাধ্যমে ভারত সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি এবং ক্রিটিক্যাল সেক্টরগুলির কাছে সাইবার প্রতিরক্ষা জোরদার করার আর্জি জানিয়েছে। বিভিন্ন ভারতীয় ডিজিটাল এন্টিটি জুড়ে সাইবার হামলার বাড়বাড়ন্ত এড়ানোর জন্য এটি করা হয়েছিল।

এমনকী চিত্র পরিচালক এসএস রাজামৌলির গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। সাম্প্রতিক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এগুলি শেয়ার করবেন না, কারণ এগুলিকে শত্রুরা কাজে লাগাতে পারে। ভেরিফায়েড নয়, এমন খবর অথবা দাবি ফরোয়ার্ড করবেন না। এতে আপনারা শুধু ঝামেলাই তৈরি করতে পারবেন। শান্ত, সতর্ক এবং ইতিবাচক থাকুন। জয় আমাদের হবে।

ছবি, ভিডিও কীভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষা করা যাবে?অ্যান্টিভাইরাস: সাইবার ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হল - বিশ্বস্ত বিক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা। এটি ম্যালিশাস অ্যাটাক শনাক্ত করতে এবং প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

অজ্ঞাতপরিচয় কারও থেকে মেসেজ এলেও এড়িয়ে যাওয়া: অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর অথবা ইমেল অ্যাড্রেস থেকে আসা লিঙ্ক অথবা অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক না করাই উচিত।

পাবলিক ওয়াইফাইয়ের জন্য ভিপিএন: পাবলিক ওয়াইফাই-এর সঙ্গে কানেক্ট করার সময় সব সময় ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করা উচিত।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড: নিজের অ্যাকাউন্ট এবং ডেটা সুরক্ষিত রাখার সবথেকে ভাল উপায় হল, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করা।

ডিভাইস আপডেট: ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ লেটেস্ট সিকিউরিটি প্যাচ দিয়ে সব সময় আপ-টু-ডেট করে রাখতে হবে।