এসি কেনার টাকা নেই? জলের দরে ঘর 'ঠান্ডা' করুন 'এই যন্ত্রে'...! গরম পড়ার আগেই কিনে ফেলুন

গ্রীষ্মের দাবদাহে ঠান্ডা থাকার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এখন আর বিলাসদ্রব্য নেই, রোজকার গৃহস্থালির অংশ হয়ে উঠেছে বাংলায়। তবে আধুনিক এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কেনার খরচ এখনও অনেকটাই। সবার সামর্থ্য নেই। তাই বলে গরমে কষ্ট পাবেন? একদমই না। ঘরে আনুন এসির চেয়েও সস্তায় এসির চেয়ে ভাল জিনিস।

এসির মতোই ঠান্ডা, খরচও কম! এমন যন্ত্র যে আছে জানতেন না নিশ্চয়ই? যে বাতানুকূল যন্ত্রের কথা আপনাকে বলছি, এতে বিদ্যুতের বিলও এসির চেয়ে কম আসবে। একেবারেই, হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো ব্যাপার!

আপনার ভরসা হতে পারে নাগপুরি কুলার। নাগপুরি কুলার কী? একেবারে অল্প জায়গায় ঘরে রাখার মতো এক যন্ত্র। যেটি সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেও পারবেন। দাম জলের মতো! জানুন বিশদে।

নাগপুরি কুলার একটি বিশেষ ধরনের কুলার, যা এসির মতো শীতলতা প্রদান করে। এটি সাধারণ কুলারের তুলনায় বেশি কার্যকর এবং বিদ্যুৎ খরচও কম। নাগপুরি কুলারের বিশেষত্ব কী কী?

নাগপুরি কুলার বর্তমানে এক নতুন বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, যা গরমের দিনে এসির মতোই কার্যকরভাবে শীতলতা প্রদান করতে সক্ষম। এই কুলারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল: - **উচ্চ শীতলতা:** এটি প্রচণ্ড গরমেও ঘরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ঠান্ডা রাখতে সক্ষম, ঠিক যেন এসির মতোই কার্যকরভাবে শীতল বাতাস সরবরাহ করে।

**খরচ সাশ্রয়ী:** এসির তুলনায় নাগপুরি কুলারের দাম অনেক কম। শুধু কেনার খরচই নয়, এটি চালানোর জন্যও অনেক কম বিদ্যুৎ ব্যয় হয়, যা বিদ্যুৎ বিল কমাতে সাহায্য করে।

**সহজ ইনস্টলেশন ও ব্যবহারের সুবিধা:** এটি সহজেই ঘরে স্থাপন করা যায় এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত কোনও ঝামেলা নেই। নিয়মিত জল ভরাট এবং ফিল্টার পরিষ্কার করলেই দীর্ঘদিন ভালোভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।

**পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি:** এই কুলার চালাতে কম বিদ্যুৎ লাগে এবং এটি কোনও ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত করে না, ফলে পরিবেশের ওপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।

**উন্নত বায়ুপ্রবাহ:** নাগপুরি কুলারে উন্নত প্রযুক্তির ফ্যান ব্যবহার করা হয়, যা ঘরের প্রতিটি কোণ পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস পৌঁছে দিতে সক্ষম। এই কারণে গ্রীষ্মের তীব্র গরমে নাগপুরি কুলার একটি কার্যকর ও সাশ্রয়ী বিকল্প হয়ে উঠছে।

নাগপুরি কুলার কোথায় পাবেন? নাগপুরি কুলার বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট এবং স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায়। অনলাইনে অর্ডার করে সহজেই এটি বাড়িতে পেতে পারেন। কলকাতা থেকে শুরু করে দিল্লি সর্বত্র মেলে। দাম ৫ হাজার টাকার মধ্যে।