WhatsApp-কে কড়া চিঠি কেন্দ্রের, নয়া প্রাইভেসি পলিসি প্রত্যাহারের নির্দেশ

কিছু দিন আগেই জানা যায়, প্রাইভেসি পলিসিতে পরিবর্তন করতে চলেছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। তাদের তরফে জানানো হয়, আগামীদিনে অ্যাপটির আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করতে গেলে প্রত্যেককে 'agree and accept' অপশনে ক্লিক করতে হবে। এই agree অপশনের লিস্টেই প্রাইভেসি সংক্রান্ত পরিবর্তিত তথ্য দেওয়া থাকবে। এই অপশনটির অ্যাক্সেপ্ট বোতামে ক্লিক না করলে অ্যাপটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাবে। এবং এই আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীর তথ্য সংস্থার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে। বিষয়টি জানার পর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করার প্রবণতা বেড়েছে মানুষের।

এই প্রাইভেসি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে চর্চার শুরু থেকেই এর উপরে নজর রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সরাসরি বিষয়টি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাল তারা। সেখানে আবেদন করা হয়েছে, ভারতীয় ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনীয়তাকে সম্মান জানিয়ে তাদের তথ্য যেন সুরক্ষিত রাখা হয়।

বুধবার সংস্থার প্রধান উইল ক্যাথকার্টকে পাঠানো চিঠিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বার্তা, ‘ভারতীয় ব্যবহারকারীদের তথ্যের গোপনীয়তা এবং ডেটা সংক্রান্ত সুরক্ষাকে নিশ্চিত করুন। ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য মেসেজিং পরিষেবা সংক্রান্ত প্রাইভেসি পলিসি-র সাম্প্রতিক নয়া শর্তগুলি প্রত্যাহার করুন’।

হোয়াটসঅ্যাপের তরফে কিছুদিন আগে জানানো হয় ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের অধীনস্থ যে কোনও সংস্থা এমনকি ফেসবুক (Facebook)-এও শেয়ার হতে পারে। এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি। তার পরই ঘটে বিপত্তি। এই অতি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ছেড়ে বের হতে শুরু করে মানুষজন। এমনকি বর্তমানে ভারতের মতো দেশে মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করতে রাজি।

এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের তথ্য সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের তরফে চিঠিটি পাঠানোর পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্য চেয়ে একটি প্রশ্নমালাও পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেখানে সংস্থার ডেটা শেয়ারিং প্রোটোকল ও বিজনেস প্র্যাক্টিস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ভারতীয়দের কী ধরনের তথ্য সংস্থা কোন কাজে কোন পরিষেবার জন্য কার সঙ্গে শেয়ার করে!

এখানেই শেষ হয়। পুরো প্রাইভেসি সংক্রান্ত বিষয়টি জানতে ও তথ্য কোথায় কী ভাবে যাচ্ছে এবং এটা শুধু ভারতের সঙ্গেই হচ্ছে কি না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয়দের ক্ষেত্রে সিকিওরিটি পলিসি, ইনফরমেশন সিকিওরিটি পলিসি, সাইবার-সিকিওরিটি পলিসি, প্রাইভেসি পলিসি ও এনক্রিপশন পলিসিতে সংস্থার পলিসি ও বাকি দেশের ক্ষেত্রে তাদের পলিসিতে কতটা পার্থক্য রয়েছে, সেটা বিশদে জানাতে হবে।

এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে সরকারের চিঠির উত্তরে ঠিক কী কী বলা হতে পারে বা সংস্থা এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু ভেবেছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।

এদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ টেলিগ্রাম (Telegram) ও সিগনাল (Signal) অ্যাপে চলে গিয়েছেন। অনেকেই হোয়্যাটসঅ্যাপ ব্যবহার কমিয়েও দিয়েছেন।