Farewell Skype: এক যুগের অবসান! বিদায় Skype! আপনার অ্যাকাউন্ট-ডেটার কীভাবে ট্রান্সফার করবেন Teams-এ, জানুন এখনই

গত সোমবার অবসান ঘটল Skype-র পথ চলার। এর সঙ্গে সঙ্গে অবসান ঘটল ডিজিটাল কমিউনিকেশনের একটি যুগের। অবশেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে গত ৫ মে ২০২৫ তারিখে Skype বন্ধ করে দিল Microsoft। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম ছিল, যা অনলাইন ভিডিও কলিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হত। গত ফেব্রুয়ারিতেই হয়ে গিয়েছিল ঘোষণাটি। সেটাই ধীরে ধীরে Skype-র অবসানের পথ প্রশস্ত করেছিল। কারণ ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে এবার থেকে Microsoft Teams-এর উপর মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল Microsoft।

আর এই বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়বে ফ্রি এবং পেইড উভয় ধরনের Skype ব্যবহারকারীদের উপর। কারণ Skype for Business-কে পুরোপুরি ভাবে Teams-এ ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে। Microsoft-এর তরফে দাবি, Skype-র একাধিক পরিচিত ফিচার ব্যবহারকারীরা পেয়ে যাবেন Teams-এ। সেই সঙ্গে মিলবে কোল্যাবোরেশন এবং প্রোডাক্টিভিটির জন্য এক্সপ্যান্ডেড টুলস।

এবার কী হবে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের? যাঁরা আগে থেকে Skype ব্যবহার করছিলেন, তাঁরা নিজেদের বর্তমান Skype ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে Microsoft Teams-এ সাইন ইন করতে পারবেন। তাঁদের কন্ট্যাক্ট এবং চ্যাট হিস্ট্রি নিজে থেকেই নতুন ফ্ল্যাটফর্মে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। আর যাঁরা এই পরিবর্তন করতে চাইছেন না, তাঁদেরকে একটি বিকল্প দিচ্ছে Microsoft। তার ফলে বিকল্প পরিষেবায় সেফকিপিং অথবা মাইগ্রেশনের জন্য কনভার্সেশন এবং ফাইল এক্সপোর্ট করতে পারবেন তাঁরা।

ব্যবহারকারীরা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত নিজেদের Skype ডেটা এক্সপোর্ট করতে অথবা মুছে ফেলতে পারবেন। কেউ যদি এই ডেডলাইনের আগে Microsoft Teams Free-তে লগ-ইন করেন, তাহলে তাঁদের হাতে নিজেদের Skype চ্যাট এবং কল হিস্ট্রির অ্যাক্সেস থাকবে। যদিও কোনও অ্যাকাউন্ট যদি নিষ্ক্রিয় থাকে, তাহলে তাঁদের ডেটা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে সম্পূর্ণ ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে।

ডেটা এক্সপোর্ট করতে ব্যবহারকারীদের কী করণীয়? ১. Skype Export পেজে সাইন-ইন করতে হবে নিজেদের Microsoft অ্যাকাউন্টের সাহায্যে। ২. কনভার্সেশনস, ফাইলস অথবা দুইই ডাউনলোড করার বিকল্প বেছে নিতে হবে। ৩. যখন নির্দেশ আসবে, তখন রিক্যুয়েস্ট সাবমিট করে কনফার্ম করতে হবে। ৪. কাজ সম্পন্ন হওয়ার নোটিফিকেশন এলে ডেটা রিট্রিভ করার জন্য ডাউনলোডে ক্লিক করতে হবে।

Skype কেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? অনলাইন কমিউনিকেশনের পথ প্রদর্শক বলা যেতে পারে Skype-কে। ২০০৩ সালে চালু হওয়ার পর তা সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরপর ২০১১ সালে ৮.৫ বিলিয়ন ডলারে এই প্ল্যাটফর্ম অধিগ্রহণ করে Microsoft।

একে Windows, Xbox কনসোলস এবং স্মার্টফোনের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ বিলিয়ন ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে যাওয়া। যদিও বারবার রিডিজাইন, পারফরম্যান্সজনিত সমস্যা এবং ব্লোটেড আপডেটের কারণে ধীরে ধীরে এই প্ল্যাটফর্ম ছাড়ছিলেন ব্যবহারকারীরা। এরপর অতিমারী এর পতনকে আরও জোরালো করে।