China Mosquito Drone: নিঃশব্দে উড়ে হাঁড়ির খবর বের করতে সক্ষম! বিশ্বকে চমকে দিল চিনের বিশেষ 'মশা ড্রোন'
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
China Mosquito Drone: চিন তৈরি করেছে একটি মশার আকৃতির অত্যন্ত ক্ষুদ্র ড্রোন, যার পাখনা ও অতিসূক্ষ্ম কাঠামো একে প্রায় অদৃশ্য করে তোলে। এই ড্রোন নিঃশব্দে উড়ে রাডার এড়িয়ে যে কোনও অভিযানে অনায়াসে প্রবেশ করতে সক্ষম, যা ভবিষ্যতের গোয়েন্দা প্রযুক্তিতে এক নতুন বিপ্লব ডেকে আনতে পারে, বিস্তারিত জানুন এই মশা ড্রোন সম্পর্কে...
advertisement
1/9

চাঞ্চল্যকর ড্রোন যুদ্ধ প্রযুক্তিতে এক নতুন দিগন্ত খুলল চিন। সম্প্রতি দেশটির ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজি (NUDT) একটি মশার মতো মাইক্রো ড্রোন উন্মোচন করেছে। এটি মাইক্রো-নির্দেশিত মানববিহীন সিস্টেমে চিনের অগ্রগতি তুলে ধরে।
advertisement
2/9
আজকাল ড্রোনের গুরুত্ব বাড়ছে—নজরদারি থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে চিনের এই মশার মাইক্রো ড্রোন বিশ্বকে চমকে দিতে পারে, বিশেষ করে যখন ইউক্রেন – রাশিয়ার মধ্যে সম্প্রতি ঘন ঘন ড্রোন আক্রমণ চলছে।
advertisement
3/9
দক্ষিণ চিন মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ড্রোনটির দৈর্ঘ্য মাত্র ১.৩–২ সেমি, পালকের প্রস্থ ৩ সেমি, আর ওজন মাত্র ০.৩ গ্রাম। ছোট এই ড্রোন প্লেনের নজরে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম।
advertisement
4/9
ইঁদুরের মতো গঠন ও মশার মত চলাচল অনুকরণ করে এটি তৈরি। বাইওনিক পালক ও অতিসূক্ষ্ম পা এটিকে প্রায় অদৃশ্য করে তোলে, ফলে তা চুপচাপভাবে, অদৃশ্য থেকেই এটি কাজ করতে পারে৷ representative image
advertisement
5/9
এটিকে যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায় স্মার্টফোনের মাধ্যমে। সম্পূর্ণ নিঃশব্দে এটি গোপনে উড়ে যায় এবং রাডারের চোখ এড়িয়ে ছোট জায়গাতেও ঢুকে পড়তে পারে। বিশেষ করে সংকীর্ণ স্থান যেমন বিল্ডিং, সুড়ঙ্গ বা ঘাড়ের মধ্যে সহজে ঢোকার ক্ষমতা রাখে। representative image
advertisement
6/9
চিন সরকারের মালিকানাধীন CCTV-7 চ্যানেলে সম্প্রতি এই মাইক্রো ড্রোনের ভিডিও দেখা যায়। সেখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিয়াং হেক্সিয়াং ড্রোনটি তুলে ধরে বলেন—এটা পুরোটাই মশার মতো, এবং যুদ্ধের মঞ্চে সম্পূর্ণ আড়ালে থেকে কাজ করে যেতে পারে৷ এছাড়াও সেনা বাহিনির বিশেষ অপারেশনের কাজে এই দারুণ কার্যকর হবে।
advertisement
7/9
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে সেন্সর, পাওয়ার ডিভাইস, নিয়ন্ত্রণ সার্কিটস – সবই আছে।আজকের ন্যানো-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক মাইলফলক—এমন একাধিক ক্ষেত্র থেকে প্রযুক্তিবিজ্ঞানীরা একত্রে কাজ করেছেন তার উন্নয়নে।
advertisement
8/9
বিশ্বব্যাপী মাইক্রোবট ব্যবহারে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। নরওয়েতে “Black Hornet” নামে একটি মাইক্রো ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে, যা হাতে ধরে নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এটি Black Hornet 4 সংস্করণে আরও শক্তিশালী, যা ইউএস ডিফেন্সের ব্লু UAS রিফ্রেশ অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছে।
advertisement
9/9
২০১৯ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্ক টিম “RoboBee” নামে একটি মাইক্রো ড্রোন তৈরি শুরু করে। ২০২১ সালে মার্কিন বিমান বাহিনীরও আগ্রহ প্রকাশ পায় এই ধরনের ড্রোনে। যদিও তাদের প্রকল্পের তেমন কোনো যোগ্যতা বা অগ্রগতির তথ্য এখন পর্যন্ত প্রকাশ পায়নি। তবে মাইক্রোবট প্রযুক্তি শুধু সামরিক নয়, চিকিৎসা ক্ষেত্রে থেরাপি, সার্জারি ও ইমেজিং প্রযুক্তিতেও এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে চলেছে।