বলুন তো, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের কোন রাজ্য 'এক' নম্বরে! এখানে ঘরে ঘরে চলে 'সেই' খেলা, হাত বাড়ালেই...কলকাতা কত নম্বরে?

ভারতের মেট্রো শহরগুলো নয়, বরং তামিলনাড়ুর ছোট শহর কাঞ্চিপুরম (যা তার রেশম ও মন্দিরের জন্য পরিচিত) ভারতের 'চিটিং ক্যাপিটাল' হিসেবে স্থান পেয়েছে। বিবাহিতদের জন্য ডেটিং অ্যাপ অ্যাশলে ম্যাডিসন-এর ২০২৫ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিবাহিত কিন্তু সম্পর্কে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য এই প্ল্যাটফর্মে বেশ কয়েকটি ছোট শহর থেকে ব্যাপক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে।

আশ্চর্যজনকভাবে, কাঞ্চিপুরম মাত্র এক বছরের মধ্যে ১৭তম স্থান থেকে ১ম স্থানে উঠে এসেছে। তাকে অনুসরণ করছে সেন্ট্রাল দিল্লি, যা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এদিকে, দক্ষিণ দিল্লির গোপনীয়তা এবং পশ্চিম দিল্লির ব্যবসায়িক ব্যস্ততা, সেই সঙ্গে নয়ডা ও গুরুগ্রামের দেরিতে বাড়ি ফেরা এবং "আমি কাজে আছি" অজুহাতগুলো অনলাইনে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রবণতাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

ভারতের যে শহরগুলিতে প্রেম... জটিল: কাঞ্চিপুরম, সেন্ট্রাল দিল্লি, গুরুগ্রাম (গুরগাঁও), গৌতম বুদ্ধ নগর (নয়ডা), সাউথ ওয়েস্ট দিল্লি, দেরাদুন, ইস্ট দিল্লি, পুনে, বেঙ্গালুরু (ব্যাঙ্গালোর), সাউথ দিল্লি, চণ্ডীগড়, লখনউ, কলকাতা, ওয়েস্ট দিল্লি, কামরূপ, নর্থ ওয়েস্ট দিল্লি, রায়গড়, হায়দ্রাবাদ, গাজিয়াবাদ, জয়পুর।

অ্যাশলে ম্যাডিসন ডেটিং অ্যাপটি সম্প্রতি বিবাহিতদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই অ্যাপটি দাবি করে যে এটি বিবাহিত জীবনকে আরও মধুর করে তুলতে পারে। কিন্তু, এই অ্যাপটি ব্যবহার করার আগে এর সাবস্ক্রিপশন ফি এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা দরকার

কেউ যদি বিবাহিত হন এবং নিজের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা ভেবে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই অ্যাশলে ম্যাডিসনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করতে চাইবেন। বিবাহিতদের জন্য এই ডেটিং সাইটটি ইতিমধ্যেই অনেক বিতর্ক এবং কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে। এর মূল নীতিবাক্য - Life is short. Have an affair। গত ২০ বছর ধরে এই অ্যাপটি ডেটিং প্ল্যাটফর্মের একটি মূল অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যাশলে ম্যাডিসন কারও জন্য সেরা ডেটিং সাইট কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এর খরচ এবং সুবিধাগুলি যাচাই করে দেখা প্রয়োজন। অ্যাশলে ম্যাডিসন কীভাবে কাজ করে তাও বোঝা ভাল।

সঠিক এবং ভুলের প্রশ্নে না গিয়ে যদি কেউ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্ধান করেন, তাহলে অ্যাশলে ম্যাডিসন ইউজারকে তাঁর পছন্দসই এবং প্রয়োজনীয় যা কিছু পাওয়ার জন্য অনেক সুযোগ দেবে। এই ডেটিং ওয়েবসাইটটি একটি নিরাপদ, ব্যক্তিগত জায়গা প্রদান করে যেখানে বিবাহিত ব্যক্তিরা তাঁদের বিবাহের বাইরেও গোপনে দেখা করতে পারেন এবং তাঁদের কল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে পারেন।

প্রোফাইল ব্রাউজ করা বা ফ্যান্টাসি রোম্যান্স: কেউ যদি কোনও কমিটমেন্ট ছাড়াই প্রোফাইল দেখতে এবং ব্রাউজ করতে চান, তাহলে তিনি অ্যাশলে ম্যাডিসন ওয়েবসাইটে তা করতে পারেন। কিন্তু যদি অ্যাশলে ম্যাডিসন ইউজারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান, তাহলে সাইন আপ করতে হবে।

সাইটটি মহিলাদের জন্য একেবারে বিনামূল্যে উপলব্ধ এবং পুরুষরা ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই প্রোফাইলের ডেটাবেস অ্যাক্সেস করতে পারেন। অ্যাপটি সদস্যদের রেজিস্ট্রেশন করতে প্রায় ১০ মিনিট সময় নেয়, যার মধ্যে ইউজার নাম নির্বাচন এবং বায়োগ্রাফিতে কী কী অন্তর্ভুক্ত করবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মটি তার অর্থপ্রদানকারী সদস্যদের ফ্যান্টাসি এবং নতুন নতুন সুযোগ অন্বেষণ করার অপশনও দেয়। এই অ্যাপটি ইউজাররা ফোন বা ল্যাপটপ দুইয়েই দেখতে পারেন। কেউ যদি কেবল কমপ্যাটিবিলিটি দেখতে চান তাহলে এর জন্য কোনও চার্জ নেই।

অনেকেই বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে চান। এই অ্যাপটি ইউজারদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে সহায়তা করে, যে কারণে এটি বিবাহিত মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল ইমেজ ব্লার এবং মাস্কিং অপশন। ইউজাররা প্রোফাইলে ছবি আপলোড করে ফেস ব্লার অথবা নিজের পরিচয় লুকানোর জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যাশলে ম্যাডিসনে পুরুষদের ক্রেডিট প্যাকেজ শুরু হয় ৪,২৩৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২১,৬০৭ টাকা পর্যন্ত।