Air Conditioner Electricity Saving Tips: এসি চালানোর সময় এই ৩টি বিষয় মাথায় রাখলেই কেল্লাফতে! পকেট ফ্রেন্ডলি হবে বিদ্যুতের বিল...

গরমের সময় এয়ার কন্ডিশনার চালাতে গেলে যদি কিছু বিষয় খেয়াল রাখা যায়, তবে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

জেনে নিন, কোন কোন টিপস অনুসরণ করলে এসি চালানোর পরেও বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কম আসতে পারে।

গ্রীষ্মের শুরুতে ফ্যান, কুলার ও AC-এর ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে যায়। এর ফলে বিদ্যুৎ খরচও বাড়ে এবং মাসিক খরচে প্রভাব পড়ে।

তবে এত গরমে এসি ছাড়া থাকা মুশকিল, তাই বাধ্য হয়েই এসি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু কিছু ছোটখাটো টিপস মাথায় রাখলে এসি ব্যবহারের পরেও বিলের পরিমাণ অনেকটা কমানো সম্ভব।

সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন – এসি চালানোর সময় ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই রাতে ঘুমানোর সময় এসি চালিয়ে দেন কিন্তু সেটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনবরত চলে। ঘরে যথেষ্ট ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরেও এসি বন্ধ না করলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।

তাই সময় অনুযায়ী সেট টাইমার ব্যবহার করুন। টাইমার মোড চালু রাখলে নির্দিষ্ট সময় পর এসি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত হবে না আবার অকারণে এসি চলেও থাকবে না।

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন – এসি কত ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলছে সেটিও বিদ্যুৎ খরচ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রিতে এসি চালালে ধীরে হলেও ঘর ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ কম খরচ হয়।

কিন্তু এটাও মাথায় রাখবেন, ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রি বা তারও কমে চালালে ঠান্ডা তো হবেই, পাশাপাশি খরচ অনেক বেশি হয়। তাই তাপমাত্রা সামঞ্জস্য রেখে এসি ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ঘর ভালোভাবে বন্ধ রাখুন – ঘরের জানালা ও দরজা ঠিকমতো বন্ধ না রাখলে এসির ঠান্ডা বাতাস বাইরে চলে যায়। ফলে এসিকে অনেকক্ষণ চালিয়ে রাখতে হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে।

বারবার দরজা খুললে ঠান্ডা ঠিকমতো হয় না। তাই দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখলে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে এবং এসি কম সময় চালালেই চলবে।

এই তিনটি সাধারণ টিপস মেনে চললে গরমের সময় এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষার দিকটাও মাথায় রাখা যায়।