West Bengal Weather Update: একটু পরেই দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে ঝড়বৃষ্টি নামবে

রাজ্যে গরমকাল শুরু হতে না হতেই গ্রীষ্মের দাপটে যেন ওষ্ঠাগত প্রাণ। এরইমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। গত দু'দিনে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে আবহাওয়া বেশ মনোরম হয়ে উঠেছে উত্তরে। কিন্তু দক্ষিণে ক্রমেই বাড়ছে গরম। সেই সঙ্গে অস্বস্তি। উত্তরের মতো কবে বৃষ্টি হবে দক্ষিণে?‌ নাকি দক্ষিণ বঙ্গ বঞ্চিতই থেকে যাবে?‌ কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা?‌

কিন্তু দক্ষিণে ক্রমেই বাড়ছে গরম। সেই সঙ্গে অস্বস্তি। উত্তরের মতো কবে বৃষ্টি হবে দক্ষিণে?‌ নাকি দক্ষিণ বঙ্গ বঞ্চিতই থেকে যাবে?‌ কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা?‌ প্রতীকী ছবি। 

অবশেষে এল সুখবর। এবার বৃষ্টির পদধ্বনি দক্ষিণবঙ্গেও। অবশেষে ভিজতে চলেছে দক্ষিণের বেশ কয়েকটি জেলা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, আগামী দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে চলেছে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলায়।

তবে আবহাওয়া দফতরের বলছে, আজ শুধু নয়, কালও বৃষ্টি হবে না দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে। কলকাতা সহ সংলগ্ন জেলার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। তবে বৃষ্টি হবে না।

তাপমাত্রাও মোটামুটি একই থাকবে। কমবে না, খুব বেশি বাড়বেও না। তবে পশ্চিমের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা বাড়বে। তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।

আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়াবে গরমের অস্বস্তি। কলকাতায়ও ক্রমেই বাড়বে অস্বস্তি। সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৩৫ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির কাছে। তবে আর্দ্রতার জন্য কষ্ট বাড়বে।

মোটের ওপর বাংলায় বৃষ্টির স্বস্তি পুরোদমে আসতে এখনও বাকি আরও কিছুদিনের অপেক্ষা। এখনই আবহাওয়ার খুব বড়রকমের বদলের সম্ভাবনা নেই বাংলায়। গরম প্রায় একই রকম থাকবে। বৃষ্টিও হবে না।

আবহাওয়াবিদদের একাংশের মতে, আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে হতে পারে কালবৈশাখী। কারণ প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে।

যদিও আবহাওয়া দফতর এই নিয়ে একেবারেই নিশ্চিত নয়। তারা বলছে, এভাবেই চলবে হাওয়ার গতি। গরম আরও বাড়বে। এ বছর নির্ধারিত সময়ের পরেই বৃষ্টি নামবে।

এদিকে, গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গে হচ্ছে বৃষ্টি। আজও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদাতে বৃষ্টিপাত হবে।

ফলে উত্তরবঙ্গবাসী এখনও দিন কয়েক আরামে থাকবেন। সেই সঙ্গে এবার বৃষ্টির আভাস দক্ষিনেও। বৃষ্টি বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও।