Science Invention: বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলল দেবলীনার আবিষ্কার, কী এমন করলেন বঙ্গতনয়া? জানলে আঁতকে উঠবেন
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
- Reported by:Nawab Ayatulla Mallick
Last Updated:
Science Invention: বাটানগরের মেয়ে, নবনালন্দা স্কুলের প্রাক্তনী, ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস, জার্মানির উজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে আমেরিকা ও বর্তমানে ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলিজ বা এমআইটির প্রফেসর। ওখানে ন্যানো-সাইবারনেটিক বায়টেক ল্যাবের চিফ সায়েন্টিস্ট তিনি।
advertisement
1/6

নিঃশব্দে থাকতে ভালবাসেন তিনি! প্রচারের আলোয় ঝলসে ওঠা তাঁর পছন্দের নয়। তাই এত বড় আবিষ্কারে দেশের নাম উজ্জ্বল করার পরও খুব কম লোকই জানেন তার নাম। তিনি দেবলীনা সরকার। বাটানগরের মেয়ে, নবনালন্দা স্কুলের প্রাক্তনী, ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস, জার্মানির উজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে আমেরিকা ও বর্তমানে ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলিজ বা এমআইটির প্রফেসর। ওখানে ন্যানো-সাইবারনেটিক বায়টেক ল্যাবের চিফ সায়েন্টিস্ট।
advertisement
2/6
কী করেছেন তিনি?দেবলীনা সরকার একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং আবিষ্কারক। তিনি একটি অতি পাতলা কোয়ান্টাম যান্ত্রিক ট্রানজিস্টর আবিষ্কারের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেয়েছেন। যা ন্যানো-আকারে স্কেল করা যায় এবং ন্যানোইলেক্ট্রনিক বায়োসেন্সরগুলিতে ব্যবহৃত হয়। এমআইটি-তে ন্যানো সাইবারনেটিক বায়োট্রেক ল্যাবের প্রধান গবেষক হিসাবে, সরকার নতুন ন্যানো-ডিভাইস এবং লাইফ-মেশিন ইন্টারফেসিং প্রযুক্তি তৈরি করতে ন্যানোটেকনোলজি এবং সিন্থেটিক বায়োলজির মধ্যে ব্যবধান পূরণের দিকে গবেষকদের একটি বহু-বিভাগীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
advertisement
3/6
পারমাণবিকভাবে পাতলা এই চিপ স্তরযুক্ত সেমিকন্ডাক্টিং-চ্যানেল টানেল-এফইটি (ATLAS-TFET)। এই ডিভাইসটি প্রচলিত ট্রানজিস্টরের ক্ষমতার মৌলিক তাপীয় সীমাবদ্ধতাগুলি অতিক্রম করে এবং কোয়ান্টাম মেকানিকাল টানেলিং ভিত্তিক কেরিয়ার পরিবহনের কারণে সাবথার্মিয়নিক সাবথ্রেশহোল্ড সুইং অর্জন করে। সোজা কথায় এটা ধূলিকণার থেকেও ছোট, তার থেকেও পাতলা। হাতে নিলেও কিছুই বোঝা সম্ভব না। পাতলার থেকেও পাতলা এই চিপের ক্ষমতা কিন্তু অসীম। এগুলো ন্যানোইলেকট্রিক বায়োসেন্সরগুলোতে ব্যবহার হয়।
advertisement
4/6
দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাটানগর থেকে ম্যাসাচুয়েটস সফর খুব সহজ ছিল না। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ধানবাদ থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সান্তা বারবারায় ন্যানো ইলেকট্রনিক্স পড়ার জন্য ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে আসেন। সেখানে, তিনি ন্যানো ডিভাইসগুলি তৈরি করার নতুন উপায়গুলি পরীক্ষা করেছিলেন যা কম্পিউটার এবং অন্যান্য দৈনন্দিন ইলেকট্রনিক্স দ্বারা ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ কমাতে পারে।
advertisement
5/6
এই চিপ বানিয়েই যে দেবলীনা থেমে গিয়েছেন এমনটা নয়। এই মুহূর্তে আরও একাধিক কাজে ব্যস্ত দেবলীনা। অতি কম শক্তিতে কাজ করবে এমন বৈদ্যুতিক প্যানেল এবং ক্যানসারের মতো জটিল অসুখ সারাতে প্রযুক্তি কী, কী করতে পারে? কীভাবে করতে পারে? মস্তিষ্কের গঠন, তার পরিবর্তন, জটিল অসুখের সময় মস্তিষ্কের আচরণ নিয়ে পোস্ট ডক্টরাল করেছেন দেবলীনা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয়েছে চিপ। দেবলীনা আশা, এই চিপের হাত ধরে অসাধ্যসাধন হতে পারে। জটিল রোগ সেরে যাওয়া কিংবা মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ানো–চিপ মানুষের খুব ভাল বন্ধু হতে পারে।
advertisement
6/6
দেবলীনা সারাদিন ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি করেন তবে তিনি কুং ফু সিনেমারও একজন ভক্ত এবং ভারত নাট্যম শিল্পীও, একই সঙ্গে তিনি নিজের মন টুইস্ট নাচতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে তিনি তার স্নাতক ছাত্রদের সঙ্গে হাইকিং করতে যান, একবার তাদের ইয়েলোস্টোন পর্যন্ত নিয়ে যান।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Science Invention: বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলল দেবলীনার আবিষ্কার, কী এমন করলেন বঙ্গতনয়া? জানলে আঁতকে উঠবেন