Stray Dogs: ড্রয়িং রুমে খেতে দেন পথ কুকুরদের, বসতে দেন গেস্ট রুমে! নজির বাঁকুড়ায়

গোটা দেশ যখন পথ কুকুরদের নিয়ে তোলপাড়। সেখানে দাঁড়িয়ে বাঁকুড়ার এক ব্যক্তি করে চলেছেন পথ কুকুরদের নিয়ে ভালবাসার বিপ্লব। ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

কুকুরের প্রতি ভালবাসা মন্ডল পরিবারের রক্ত মিশে রয়েছে। বাঁকুড়া শহরের সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা গৌতম মন্ডল এবং শ্যামলী মন্ডল ভোর ৫ টা থেকেই পথকুকুরের সেবায় নিজেদের নিমজ্জিত করেন। গৌতমবাবুর অফিসের কাজ এবং শ্যামলী দেবীর ঘরের কাজ ছাড়াও তাঁদের বাড়িতে অবাধ বিচরণ রাস্তার অবলা পথকুকুরদের। ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

এমনকী পথকুকুরদের খেতে দেন ড্রয়িংরুমে এবং বসতে দেন গেষ্টরুমে। এছাড়াও ভোর বেলা থেকে উঠে পথকুকুরদের জন্য রান্না করেন শ্যামলী মন্ডল, অপরদিকে পথকুকুরদের ডেকে নিয়ে এসে খেতে দেন গৌতম মন্ডল। ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

বাড়ির ছাদে চার চারটি সমাধি। লেখা রয়েছে আদরের "ডায়না", প্রিয় "লালু", প্রিয় "ভোলা" এবং স্নেহের "বেবি"। ভালবাসায় মোড়া, স্মৃতি দিয়ে সাজানো এই সমাধিগুলি হল পোষ্য জার্মান স্পিটজ কুকুরের। ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

লাইফ ইন্সিওরেনস কর্পোরেশন'-এ কর্মরত এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার গৌতম মন্ডলের বাড়ির ছাদে রয়েছে এই চার সারমেয়র সমাধি। প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালানো থেকে শুরু করে ফুল দেওয়া সবই করে থাকেন তিনি। এই ভালবাসা সচরাচর দেখা যায়না বর্তমান সমাজে। গৌতম বাবু জানান যে নিজের সন্তানের মত ভালোবাসতেন এই চার পোষ্যকে। ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

গৌতম মন্ডল জানান, মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় এবং পথ কুকুরদের যাতে মানুষের রোষানলে পড়তে না হয়, সেই কারণে নিজের বাড়িতেই কুকুরদের জায়গা করে দিয়েছেন গৌতম মন্ডল। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে হোক কিংবা বাজার করতে যাওয়ার সময়, বাঁকুড়ার সতীঘাট থেকে ফাঁসিডাঙ্গা পর্যন্ত প্রতিটা পথ কুকুর চেনে গৌতম বাবুকে। তাঁকে দেখলেই খুশিতে লেজ নাড়ায় তারা।