East Bardhaman News: এখান থেকে খালি হাতে ফিরে যায় না কেউ! গেলেই মনস্কামনা পূর্ণ, বাংলায় রয়েছে এই মন্দির, জানেন কোথায়?
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
East Bardhaman News: ১৭০২ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে চুনুরিদের কাছে থাকা বাঁকা নদের পার থেকে উদ্ধার করে দেবী সর্বমঙ্গলাকে প্রতিষ্ঠা করা হয় মন্দিরে। তখন থেকেই বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা। মন্দিরের প্রবেশ পথে তিনটি স্তরে পোড়া মাটির মূর্তি রয়েছে। মূল মন্দিরের সামনে রয়েছে নাট মন্দির।
advertisement
1/5

বর্ধমানে রাঢ়বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা।মা সর্বমঙ্গলাকে রাঢ় বঙ্গের দেবী বলা হয়।যে কোনও শুভ কাজ শুরুর আগে মা সর্বমঙ্গলার মন্দিরে পুজো দেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। বর্ধমান ছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা আসেন দেবী সর্বমঙ্গলাকে দর্শন করতে। কথিত আছে, এখান থেকে খালি হাতে ফিরে যায় না কেউ। পূরণ হয় সকলের মনস্কামনা। (চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
advertisement
2/5
১৭০২ সালে মহারাজা কীর্তিচাঁদ দ্বারা সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল, যেটি বর্ধমানের ডিএন সরকার রোডে অবস্থিত।দেবী সর্বমঙ্গলার মূর্তিটি প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো। এটি অবিভক্ত বাংলার প্রথম নবরত্ন মন্দির।এই মন্দিরটিকে অনেকে শক্তিপীঠ বলেন।সেই মতে এখানে দেবীর নাভি পরেছিল।কথিত আছে, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে শহর বর্ধমানের উত্তরাংশে বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় বাগদিরা পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে একটি শিলামূর্তি পেয়েছিল। সেটিকে প্রস্তর খণ্ড ভেবে তার উপরে শামুক–গুগলি থেঁতো করতো। সেই সময় দামোদর নদ লাগোয়া চুন তৈরির কারখানার জন্য শামুকের খোলা নেওয়ার সময় শিলামূর্তিটি চলে যায় চুন ভাটায়। তখন শামুকের খোলের সঙ্গে শিলামূর্তিটি পোড়ানো হলেও মূর্তির কোনও ক্ষতি হয়নি। সেই রাতেই স্বপ্নাদেশ পান বর্ধমান মহারাজা সঙ্গম রায় এবং তিনি শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৭০২ সালে টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য খচিত সর্বমঙ্গলা মন্দির নির্মাণ করেন মহারাজাধিরাজ কীর্তিচাঁদ মহতাব।
advertisement
3/5
এই মন্দিরের দুটো প্রবেশদ্বার রয়েছে। তার মধ্যে যেটি পূর্ব দিকে অবস্থিত, সেটা পুরাতন। মন্দিরের দক্ষিণ দিকে আছে প্রধান প্রবেশদ্বার। প্রধান প্রবেশদ্বারের সামনেই রয়েছে দুটি শিবমন্দির। তার একটির নাম চন্দ্রেশ্বর। অপরটির নাম ইন্দ্রেশ্বর। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনে আরও তিনটি উত্তরমুখী শিবের মন্দির আছে। যার নাম রামেশ্বর, কমলেশ্বর। যাদের গায়ে রয়েছে টেরাকোটার কাজ। শিবলিঙ্গ শ্বেতপাথরের। মধ্যে রয়েছে মিত্রেশ্বর শিব মন্দির। যার শিবলিঙ্গ কালো পাথরের।
advertisement
4/5
কীভাবে আসবেন? বর্ধমান স্টেশন থেকে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। বর্ধমান স্টেশন থেকে টোটো চেপে চলে আসতে পারেন এই মন্দিরে। ভাড়া মাত্র ১০ বা ২০ টাকা। সর্বমঙ্গলা মন্দির ছাড়াও মন্দিরের বাইরে পূর্ব দিকের দরজার পাশে আছে ধনলক্ষ্মী মন্দির। মন্দিরের বাইরে একটি কামান রয়েছে। এক সময় এই কামান দাগা হলে এর আওয়াজ শুনে শুরু হত বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় সন্ধিপুজো।
advertisement
5/5
মন্দির খোলা হয় সকাল ৬ টায়। অন্নভোগ হয়ে গেলে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০-এর মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় মন্দির। ফের খোলা হয় বিকেল ৪ টের সময়। ভক্তদের বসিয়ে অন্য ভোগ খাওয়ানো হয় এই মন্দিরে আবার আপনি চাইলে বাড়িও নিয়ে যেতে পারেন।তবে অন্নভোগের জন্য সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যে আগে থেকে কুপন কাটতে হবে আপনাকে। ছুটির দিনে একবার এই মন্দিরে এসে ঘুরে যেতে পারেন আপনিও।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: এখান থেকে খালি হাতে ফিরে যায় না কেউ! গেলেই মনস্কামনা পূর্ণ, বাংলায় রয়েছে এই মন্দির, জানেন কোথায়?