Durga Puja 2025 : থিমে টেক্কা দেওয়ার যুগে ব্যতিক্রম এই পুজো! এখনও মিলেমিশে এখানে হয় উৎসব! ২০ গ্রামের একটাই পুজো, দেখে আসুন
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Durga Puja 2025 : এলাকায় দীর্ঘদিন ছিল না কোনও দুর্গাপুজো। তারপর মিশে গেল একই পঞ্চায়েতের ২০টি গ্রাম। শুরু হল উৎসবের আনন্দ। এখনও চলছে।
advertisement
1/6

এগরা পাঞ্চজন্য ক্লাবের পুজো এবছর তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা শহরবাসীর কাছে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে অভিনব ভাবনার কারণে। এবছর তারা থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মস্থান কামারপুকুরকে। মণ্ডপের নকশা থেকে শুরু করে প্রতিটি দিকেই তুলে ধরা হয়েছে কামারপুকুরের ঐতিহ্য ও স্মৃতিচিহ্ন। দর্শনার্থীরা মণ্ডপে প্রবেশ করেই যেন অনুভব করছেন সেই পবিত্র স্থানের আবহ। <strong>(তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)</strong>
advertisement
2/6
মণ্ডপের প্রতিটি দৃশ্যপট সাজানো হয়েছে হাঁসুতি ঘাস, কাঠ, বাঁশ এবং রং-তুলির সূক্ষ্ম কাজ দিয়ে। শ্রী রামকৃষ্ণ ও মা সারদার জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শিল্পীর কল্পনা ও শ্রমে। মণ্ডপের অন্দরমহলে প্রবেশ করলেই মনে হবে দর্শনার্থীরা যেন আর এগরার শহরে নেই, তাঁরা চলে গিয়েছেন কামারপুকুরের আধ্যাত্মিক পরিবেশে। প্রতিমার সঙ্গেও মানানসই করা হয়েছে এই সজ্জা।
advertisement
3/6
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা স্বপন দত্ত বলেন, “আমরা চাই আমাদের পুজো শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যে সীমাবদ্ধ না থাকুক। দর্শনার্থীরা যেন এখানে এসে আধ্যাত্মিক আবহ অনুভব করেন। এজন্যই শ্রী রামকৃষ্ণ ও মা সারদার জীবনের নানা বিশেষ মুহূর্ত আমরা মণ্ডপের প্রতিটি কোণে ফুটিয়ে তুলেছি। মানুষ যদি আমাদের এই প্রচেষ্টায় কামারপুকুরের ছোঁয়া অনুভব করেন, তাহলেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে।”
advertisement
4/6
অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকার রাণীচক বৈকুণ্ঠ স্মৃতি সংঘ পাঠাগারের দুর্গোৎসব মানে আলাদা উন্মাদনা। থিমের চাকচিক্য নয়, বরং সমাজসেবাই তাদের মূল লক্ষ্য। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টি গ্রাম একসঙ্গে মিশে যাচ্ছে এই পুজোয়। দীর্ঘদিন এখানে কোনও দুর্গাপুজোর আয়োজন ছিল না। তাই স্থানীয় উদ্যোগেই আট দশক আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। বোধনের দিন থেকেই রামনগরের ২০টি গ্রামের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এই পুজো।
advertisement
5/6
মণ্ডপ সাজানো হয়েছে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে। বাঁশ-খড়ের কাঠামোয় গড়া সুদৃশ্য মণ্ডপে রয়েছে সাবেকি ঘরানার প্রতিমা। সাজসজ্জার সহজ-সরলতাই যেন মন জয় করেছে দর্শকদের। আশপাশের এলাকা থেকেও ভিড় জমছে এখানে। উৎসবের দিনগুলোতে রয়েছে নানান সামাজিক কর্মসূচি। রক্তদান শিবির, কৃষি প্রশিক্ষণ শিবির, সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান। সবই সাজানো হয়েছে পুজোকে কেন্দ্র করে।
advertisement
6/6
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা অনুপ মাইতি বলেন, “আমাদের কাছে দুর্গাপুজো মানে কেবল আনন্দ বা প্রতিমা দর্শন নয়, পুজো মানে সমাজের জন্য কিছু করা। তাই আমরা প্রতিবছরই রক্তদান শিবির, কৃষি প্রশিক্ষণ শিবির থেকে শুরু করে নানান সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করি। মানুষ যদি এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হন, তাহলেই আমাদের পুজো সফল। পুজো যেমন ভক্তির প্রকাশ, তেমনি সমাজের সেবাও আমাদের কাছে এক ধরনের পুজো। <strong>(তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)</strong>
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Durga Puja 2025 : থিমে টেক্কা দেওয়ার যুগে ব্যতিক্রম এই পুজো! এখনও মিলেমিশে এখানে হয় উৎসব! ২০ গ্রামের একটাই পুজো, দেখে আসুন