এই মন্দিরের পুরোহিত কিন্তু সামলান পড়শি রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব, অথচ বিলাসবহুল বাংলো ছেড়ে ঠাঁই নিয়েছেন মন্দিরেই !
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
Bihar Sports Minister Surendra Mehta: বিহারের বেগুসরাই জেলার নাম এবং খ্যাতি তো সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হয় যে, এখানকার মাটিতে দেবী লক্ষ্মী এবং দেবী সরস্বতীর বাস। আর এই বেগুসরাইয়েই থাকেন সেই মন্ত্রী। যাঁকে তাঁর গ্রামের মানুষ পূজারীজি বলেই ডাকেন। এদিকে বিহার সরকারের অফিসিয়াল নথি দেখলে বোঝা যাবে, তিনি আদতে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী।
advertisement
1/5

Report- Niraj Kumar: মন্ত্রিত্ব পেলেই লাল বাতিওয়ালা গাড়ি, এসকর্ট, সরকারি নিরাপত্তা আর বিলাসবহুল বাংলোর জীবনে অভ্যস্ত হতে হয়। এমনকী একজন মন্ত্রী যেখানেই যান না কেন, তাঁকে দেখার জন্য এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় জমে ওঠে। শুধু তা-ই নয়, মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেলিব্রিটিরাও। অথচ পড়শি রাজ্যে এমন একজন মন্ত্রী রয়েছেন, যাঁর সাদামাটা জীবনযাত্রা দেখে বিশ্বাসই হবে না যে, তিনি বিহার সরকারের একজন মন্ত্রী।
advertisement
2/5
বিহারের বেগুসরাই জেলার নাম এবং খ্যাতি তো সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হয় যে, এখানকার মাটিতে দেবী লক্ষ্মী এবং দেবী সরস্বতীর বাস। আর এই বেগুসরাইয়েই থাকেন সেই মন্ত্রী। যাঁকে তাঁর গ্রামের মানুষ পূজারীজি বলেই ডাকেন। এদিকে বিহার সরকারের অফিসিয়াল নথি দেখলে বোঝা যাবে, তিনি আদতে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। তাই আজকের প্রতিবেদনে Local 18 তুলে ধরতে চলেছে বিহারের সবথেকে স্পেশ্যাল কিন্তু দরিদ্র মন্ত্রী সুরেন্দ্র মেহতার গল্প। (Photo Courtesy: Surendra Mehta/Instagram)
advertisement
3/5
মন্ত্রী যখন মন্দিরের পুরোহিত: বিহার এখন তাপদাহে রীতিমতো পুড়ছে। আর এই ঠা-ঠা রোদে এসি-র হাওয়া ছেড়ে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী কিংবা বিধায়ক বাইরে বেরোচ্ছেন না বললেই চলে। এদিকে তাঁদের সকালের কাজ শুরু হয় সকাল ১০টা থেকেই। অথচ কেউ যদি বেগুসরাই জেলার তেঘরা ব্লকের কিরতৌল গ্রামে যান, তাহলে তিনি দেখতে পাবেন যে, মন্দিরের পুরোহিত নিজে হাতেই মন্দিরের সাফ-সাফাই করছেন। এরপর সকালে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তিনি পূজা এবং প্রসাদ নিবেদন করেন। এই পুরোহিত কিন্তু যে সে ব্যক্তি নন, তিনি আবার রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী সুরেন্দ্র মেহতা। (Photo Courtesy: Surendra Mehta/Instagram)
advertisement
4/5
মন্দিরের আশপাশে বসবাসকারী মানুষেরা জানালেন যে, তিনি মন্দিরের পুরোহিতের দায়িত্বও সামলান। যদি কোনও কারণে তিনি গ্রামে না থাকেন, তাহলে মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব দেওয়া হয় সংলগ্ন এলাকারই আনন্দী নামে এক পূজারীকে। গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, আজকের দিনে দাঁড়িয়েও ভগবান ভোলানাথের ভক্ত সুরেন্দ্র মেহতার মন্ত্রিত্ব নিয়ে এতটুকু অহঙ্কার নেই। গ্রামের মানুষ মন্দিরে এলে তিনি তাঁদের সঙ্গে মিলেই পুজো করেন। অথচ তাঁর সঙ্গে কোনও দেহরক্ষীর দেখা মিলবে না। (Photo Courtesy: Surendra Mehta/Instagram)
advertisement
5/5
ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ পুজো-পাঠ: বিহার সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী সুরেন্দ্র মেহতা Local 18-এর কাছে বলেন যে, “দেখুন, ভারতীয় সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল পুজো-পাঠ। ভবনের কথা বলতে গেলে, সকল মানুষের মধ্যে কোনও পার্থক্য আছে না কি?” উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন যে, “আপনাদের টিভিতেই তো দেখানো হয়েছে যে আমিই বিহারের সবথেকে দরিদ্র মন্ত্রী। এটাই এই সমস্ত কিছুর ফল। আমি আমার ধর্মকে অনুসরণ করছি মাত্র।” প্রসঙ্গত, এই তাপদাহের মধ্যেও কম্বল বিতরণের জন্য চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী সুরেন্দ্র মেহতা। (Photo Courtesy: Surendra Mehta/Instagram)
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
এই মন্দিরের পুরোহিত কিন্তু সামলান পড়শি রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব, অথচ বিলাসবহুল বাংলো ছেড়ে ঠাঁই নিয়েছেন মন্দিরেই !