‘আমরা কিন্তু কাউকে ডাকিনি...’ বিতর্কিত পদযাত্রা নিয়ে এবার খোলাখুলি ভাবে মুখ খুললেন বৃন্দাবনের সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজ
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
আসলে বৃন্দাবনের এনআরআই সোসাইটির বেশ কিছু বাসিন্দা এই প্রেমানন্দ মহারাজজির যাত্রা নিয়ে আপত্তি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সারা রাত ধরে শোনা যেত বাজনার আওয়াজ। বিল্ডিংয়ের বাইরে জমে যেত বিশাল ভিড়। কিন্তু এই প্রতিবাদ-আন্দোলনের বহু আগেই প্রেমানন্দ মহারাজ এমনটা ঘটবে বলে উল্লেখ করেছিলেন।
advertisement
1/5

Deepika Sharma: বৃন্দাবনের বিখ্যাত সন্ত প্রেমানন্দজি মহারাজের নৈশযাত্রার বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছিল। তবে এ নিয়ে প্রতিবাদ হওয়ার পর নৈশযাত্রার পথ পরিবর্তন করেছেন তিনি। আগে এই যাত্রার কালে দূর থেকে প্রেমানন্দ মহারাজের দর্শন পেতেন ভক্তরা। বর্তমানে নিজের আশ্রমের কিছু দূরেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজজি। এরপর তিনি ভক্তদের দর্শন দেন।
advertisement
2/5
আসলে বৃন্দাবনের এনআরআই সোসাইটির বেশ কিছু বাসিন্দা এই প্রেমানন্দ মহারাজজির যাত্রা নিয়ে আপত্তি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সারা রাত ধরে শোনা যেত বাজনার আওয়াজ। বিল্ডিংয়ের বাইরে জমে যেত বিশাল ভিড়। কিন্তু এই প্রতিবাদ-আন্দোলনের বহু আগেই প্রেমানন্দ মহারাজ এমনটা ঘটবে বলে উল্লেখ করেছিলেন।
advertisement
3/5
নিজের যাত্রা প্রসঙ্গে প্রেমানন্দ মহারাজ বলেছিলেন যে, শ্রীজির দেওয়া কুটির থেকে আমরা যখন বার হই, তখন আমরা জানি না যে, আমাদের সামনে কে আছে। আর পরে কী ঘটবে, সেই বিষয়েও আমরা নিশ্চিত নই। আর এই সমস্ত কিছু হয় মহারানিজির কারণে। আমরা কখনওই কাউকে দীক্ষা অথবা দর্শনের জন্য ফোন করে ডাকিনি। বরং আমরা তো নিষেধই করি। আমরা বলি, শান্ত থাকুন, রাত হয়েছে তো। কিন্তু রাতে আমরা কাকে কাকে সামলাব। যখন কেউ রাধা-রাধা করেন, তখন আমার বুক গর্বে ভরে ওঠে।
advertisement
4/5
প্রেমানন্দ মহারাজ আরও বলেন যে, আসলে আমাদের স্বামিনীর জয়ধ্বনি শুনে আমার বুক গর্বে ভরে ওঠে। তরুণ-তরুণীরা জয় শ্রী রাধে-জয় শ্রী রাধে জপ করতে থাকেন। তখন মনে হয় কী দেব ওঁদের... গোটা রাত্রি জেগে তাঁরা এখানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু এখন দৃশ্যটা বদলে গিয়েছে। এবার আপনার মনে হতে পারে যে, দেখুন বাবা কেমন লোকজন জড়ো করেছেন, নিজের প্রচার-প্রসার করছেন, রাতে ব্যান্ড-বাজনা বাজাচ্ছেন, ঢোল বাজাচ্ছেন। কিন্তু সত্যি বলতে কী, কে কখন আর কোথায় কী করছেন, সেই তথ্য আমার কাছে থাকে না। তিনি আরও বলেন যে, মানুষ মনে করেন যে, বাবাজির জন্য রাস্তায় ফুলের বর্ষণ করছেন। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা থাকে না। আসলে শ্রীজি কী করছেন, সেদিকে শুধু আমরা নজর রাখি। তাঁর শক্তিই আমাদের সঙ্গে চলে। আপনি কোনও প্রলোভনে মানুষকে জড়ো করছেন... না ভাই। এই মানুষগুলি শ্রীজির জন্যই আসেন।
advertisement
5/5
এই প্রসঙ্গে প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, যেদিন আমি ছিলাম না, আমার স্বাস্থ্য ভাল ছিল না। আমায় বলা হয়েছিল যে, পঞ্চাশ জন কান্নাকাটি করছিলেন। সেই কারণে জ্বর হোক, কিংবা যেরকমই পরিস্থিতি থাকুক, সেটা ওঁদের থেকে গোপন রেখেই আমরা যাত্রায় বেরোই। কিন্তু যখন আমাদের নজর বদলায়, দৃশ্যও পরিবর্তিত হয়ে যায়। এটা দৃশ্যের দোষ নয়, কিন্তু এটা আসলে আমাদের নজরের দোষ। প্রসঙ্গত, প্রেমানন্দ মহারাজ হলেন রাধা রানির ভক্ত। তিনি কখনওই বৃন্দাবনের বাইরে যান না। তাঁর দর্শন এবং বক্তব্য থেকে অনুপ্রেরণা পান লক্ষ লক্ষ ভক্তরা।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
‘আমরা কিন্তু কাউকে ডাকিনি...’ বিতর্কিত পদযাত্রা নিয়ে এবার খোলাখুলি ভাবে মুখ খুললেন বৃন্দাবনের সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজ