খোঁজ পাওয়া গেল ‘নরকের দরজার’! এটাই কি গিলে খাবে পৃথিবীকে? কেঁপে উঠছেন NASA-র বিজ্ঞানীরা
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
Last Updated:
NASA-র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশাল ডিম্বাকার গ্যালাক্সি M87 এর কেন্দ্রে সূর্যের ভরের ২.৬ বিলিয়ন গুণ বেশি ভরের একটি ব্ল্যাক হোলের প্রমাণ পেয়েছেন।
advertisement
1/10

একাধিক রহস‍্যে ভরা এই মহাবিশ্ব। প্রকৃতি, আর মহাকাশের বিভিন্ন রহস‍্য উন্মোচনে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন কিছু আবিষ্কার হলে সেই জিনিসকে নিয়ে হইচই পড়ে যায়। সম্প্রতি এমনই এক জিনিসের খোঁজ পেয়েছে নাসা, যাকে বলা যায় ‘নরকের দরজা’। কেঁপে উঠছেন বিজ্ঞানীরাও।
advertisement
2/10
মহাবিশ্বের রহস্য সমাধানের জন্যই আমেরিকান স্পেস এজেন্সি NASA কাজ করছে। ব্রহ্মাণ্ডের অনেক রহস‍্যই সমাধান করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
advertisement
3/10
NASA-র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশাল ডিম্বাকার গ্যালাক্সি M87 এর কেন্দ্রে সূর্যের ভরের ২.৬ বিলিয়ন গুণ বেশি ভরের একটি ব্ল্যাক হোলের প্রমাণ পেয়েছেন।
advertisement
4/10
এর ছবি NASA এর হাবল স্পেস টেলিস্কোপ (HST) দ্বারা তোলা হয়েছে। ছবিগুলি দেখায় যে M87 এর কেন্দ্রে একটি মহাকর্ষ ক্ষেত্র রয়েছে যা একটি বিশালাকৃতি ব্ল্যাক হোলের প্রমাণ।
advertisement
5/10
M87 আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একটি নিকটবর্তী গোষ্ঠীর কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি পৃথিবী থেকে ৫২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে এবং এতে ১০০ বিলিয়ন এর বেশি তারা রয়েছে।
advertisement
6/10
মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্যালাক্সিগুলির মধ্যে একটি M87 ছোট টেলিস্কোপেও দেখা যায়। পূর্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্লাজমার একটি বিশাল প্লুম বা "জেট" আবিষ্কার করেছিলেন যা স্পষ্টতই M87 মধ‍্য থেকেই বেরিয়ে এসেছিল। পরে জেট এবং কেন্দ্রকে শক্তিশালী রেডিও এবং এক্স-রে বিকিরণ নির্গত করতে দেখা গিয়েছে।
advertisement
7/10
কিন্তু এই ব্ল‍্যাক হোলের কেন্দ্রীয় "ইঞ্জিন" এর প্রকৃতি দীর্ঘদিন ধরে একটি রহস্য ছিল। ১৯৭৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রয়াত পিটার ইয়ং জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে মাটিতে দৃশ্যমান M87 এর কেন্দ্রীয় অংশগুলি একটি বিশাল ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষ দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে হচ্ছে। তবে HST পর্যবেক্ষণের আগে সাম্প্রতিক মাটির পর্যবেক্ষণ এবং তাত্ত্বিক গবেষণা এই ছবির সত্যতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়।
advertisement
8/10
লয়ার, ফেবার, লিন্ডস এবং WFPC ইমেজিং টিমের সহ-গবেষকরা HST প্ল্যানেটারি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক ছবিগুলি ব্যবহার করে M87 এর কেন্দ্রীয় কাঠামো আবিষ্কার করেছেন। ছবিগুলি স্পষ্টভাবে দেখায় যে M87 তে তারা কেন্দ্রের দিকে ঘনীভূত হয়, যার ফলে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে আলোর একটি উজ্জ্বল "পুচ্ছ" তৈরি হয়।
advertisement
9/10
87 তে তারার কেন্দ্রীয় ঘনত্ব একটি সাধারণ বিশাল ডিম্বাকার গ্যালাক্সির জন্য প্রত্যাশিত ঘনত্বের চেয়ে কমপক্ষে ৩০০ গুণ বেশি, এবং আমাদের নিজস্ব সূর্যের আশেপাশে তারার বন্টনের চেয়ে এক হাজার গুণ বেশি ঘন। প্রকৃতপক্ষে, M87 তে তারার চূড়ান্ত কেন্দ্রীয় ঘনত্ব আরও বেশি হতে পারে, তবে এটি HST এর রেজোলিউশন ক্ষমতারও বাইরে।
advertisement
10/10
প্রসঙ্গত, ব্ল্যাক হোল হল মহাকাশের এমন একটি জায়গা যেখানে মহাকর্ষ এত বেশি যে আলোও এর বাইরে যেতে পারে না। যেহেতু কোনও আলো এর বাইরে যেতে পারে না, তাই মানুষ ব্ল্যাক হোল দেখতে পায় না। তারা অদৃশ্য। ব্ল্যাক হোল বিশাল তারার মৃত্যুর এবং তাদের নিজস্ব মহাকর্ষের অধীনে ভেঙে পড়ার ফলে তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ ব্ল্যাক হোলকে ‘নরকের দরজা’ বলেও ডাকে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
খোঁজ পাওয়া গেল ‘নরকের দরজার’! এটাই কি গিলে খাবে পৃথিবীকে? কেঁপে উঠছেন NASA-র বিজ্ঞানীরা