Goosebumps: লোম কেন খাড়া হয়ে যায়? আপনি কি জানেন, ৯৯ শতাংশ মানুষই কিন্তু ডাহা ফেল!

ভয়ঙ্কর কিছুর মুখোমুখি হলে বা সাঙ্ঘাতিক কিছু ঘটে গেলে অনেক সময় গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। তবে শুধু ভয়ে নয় সিনেমার কোনও লোমহর্ষক দৃশ্য বা পারফরম্যান্স দেখলেও গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়।

ঠান্ডা, ভয় বা চমকে যাওয়ার মতো কোনও অভিজ্ঞতা হলে লোম খাড়া হয়ে যায়। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এমন হয়?

লোম খাড়া হয়ে যায় পাইলোরেকশনের কারণে। এতে ঘাম কিছুটা সময়ের জন্য আপনা থেকেই কমে যায়। এই সময় ত্বক কিছুটা সঙ্কুচিত হয়। এই কারণে, লোমের গোড়ার কাছে একটি bulge তৈরি হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলোরেক্টর পেশী মানুষের লোমের গোড়ার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা সংকুচিত হয়ে যাওয়ার ফলে লোম খাড়া হয়ে যায়। পাইলোরেকশন হল সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিক্রিয়া, যেটা আপনা থেকেই হয়।

পাইলোরেক্টর পেশীগুলি ফুলে যায়। এতে ঠান্ডা লাগা কমে যায়। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক ক্রিয়া। এতে শরীরের অন্যান্য অংশের ওপর চাপ অনেকটা কমে।

ঠান্ডা জায়গায় বসবাসকারী প্রাণীদের পশম উঠলে তাদের লোমের মধ্যে বাতাস ভরে যায়। তাদের ঠান্ডা অনুভব হয়। সেই সময় তাদের লোম খাড়া হয়ে যায়। এর ফলে তাদের কম ঠান্ডা অনুভব হয়।

অনেক সময় যখন সিনেমায় অপ্রত্যাশিত দৃশ্য দেখেন বা যখন কেউ আপনার প্রত্যাশার চেয়ে ভাল গান গায়, তখনও আপনি কাঁদেন। এর কারণ হল আপনার আবেগ। মানুষের মস্তিষ্কের একটি অংশ বিশেষ কিছু শব্দ শুনলে দেহের লোম খাড়া করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের এই অংশকে বলা হয় আবেগীয় মস্তিষ্ক। এটি তখন সক্রিয় হয়ে যায় যখন একজন ব্যক্তি কিছু অপ্রত্যাশিত শব্দ শুনতে পান।

বিপদের আভাস পেলেও লোম খাড়া হয়ে যায়। অনেক সময় মস্তিষ্কের বিশেষ অংশ 'ইমোশনাল ব্রেন'ও বিপদসূচক শব্দ শুনতে পেলে প্রতিক্রিয়া দেখায়, ফলে লোম দাঁড়িয়ে যায়। মস্তিষ্ক অনুভব করে যে এটি একটি স্বাভাবিক শব্দ নয় বরং এটি বিপদ ডেকে আনতে পারে।