Viral News: এই মহিলাকে চেনেন? আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পিছনে নাকি তাঁর প্রেমিকের হাত রয়েছে! ধরা পড়লেন একটি ভুলে

নাম রেনে জোশিলদা। চেন্নাইয়ের এক বহুজাতিক সংস্থার সিনিয়র কনসালট্যান্ট। পেশায় রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু তিনি যা করেছেন তা আপনি স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না।

তিনি যাঁকে ভালবেসেছিলেন, সেই প্রেমিকই নাকি আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এমনই দাবি করেছেন রেনে।

শুধু তাই নয়, গুজরাত জুড়ে ২১টি হুমকিমূলক ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে একটি ভুলে সমস্ত ঘটনা সামনে চলে এল। ধরা পড়লেন ইঞ্জিনিয়র ৩০ বছর বয়সি রেনে জোশিলদা।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রেনে জোশিলদা দিভিজ প্রভাকরের প্রেমে পড়েছিলেন। দিভিজ এই বছরের শুরুতেই অন্য একজন মহিলাকে বিয়ে করেন। এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে না পেরে, তিনি তাঁর প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করেন। ভয় এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচারণা শুরু করেন।

প্রেমিকের নাম ব্যবহার করে ভুয়ো ইমেল আইডি তৈরি করে, সেই ইমেল আইডি থেকে অন্তত ১১টি রাজ্যে তিনি বোমা হামলার ভুয়ো হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত এক বছরে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্নাটক, কেরালা, বিহার, তেলঙ্গানা, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলি একের পর এক হুমকি ইমেল পেয়েছে।

আহমেদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, গত এক বছর ধরে ভারতের ২০টিরও বেশি রাজ্যে বোমা হামলার ভুয়ো হুমকি পাঠিয়েছিলেন তিনি। কখনও স্টেডিয়াম, কখনও স্কুল, কখনও বিমানবন্দর, কখনও হাসপাতালে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেও এই ধরনের হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন রেনে।

তদন্ত করেও বেশি দূর এগোতে পারেনি কোনও রাজ্যেরই পুলিশ। কারণ তথ্য প্রযুক্তিতে অত্যন্ত সড়গড় রেনে, নিজের পরিচয় গোপন রাখার জন্য ব্যবহার করতেন ডার্ক ওয়েব এবং এনক্রিপ্ট করা ইমেল আইডি। এমনকী পাকিস্তানি ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক)-ও ব্যবহার করেছিলেন তিনি।

কারিগরি জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সমস্ত ডিজিটাল প্রমাণ নষ্ট করে দিতেন রেনে। তাই এত দিন ধরে তিনি ছিলেন পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

কিন্তু অবশেষে ধরা পড়ে গেলেন একটি ভুলে। ‘আহমেদাবাদ মিরর’-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, একই ডিভাইস থেকে তিনি তাঁর আসল এবং জাল ইমেল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেছিলেন। এর ফলে তাঁর আইপি অ্যাড্রেস জানতে পেরে যায় পুলিশ।

একই সঙ্গে ভুয়ো ইমেল আইডির সঙ্গে তাঁর যোগসূত্রও পরিষ্কার হয়ে যায় পুলিশের কাছে। বর্তমানে রেনে পুলিশের আওতায়৷ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে সমস্ত দিক পর্যবেক্ষণ করে দেখছে পুলিশ৷