করোনাক্রান্ত রোগীর বাঁচার আশা আছে কি না, বলে দেবে এই র্যাপিড ব্লাড টেস্ট
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যেই টেস্টের মাধ্যমে এগুলো বলে দেওয়া সম্ভব
advertisement
1/5

জন্মসূত্রে একজন ভারতীয়-সহ একদল গবেষক জানিয়েছেন যে একটি সহজ ও র্যাপিড ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে বলে দেওয়া যাবে যে কোন কোন কোভিড ১৯ (Covid 19) রোগীদের জটিলতা বৃদ্ধি বা মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যেই টেস্টের মাধ্যমে এগুলো বলে দেওয়া সম্ভব।
advertisement
2/5
জেসিআই ইনসাইট নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে এই ব্লাড টেস্ট শরীরে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ (Mitochondrial DNA)-র পরিমাণ বোঝার চেষ্টা করবে। এই জাতীয় ডিএনএ কণা এক বিশেষ ধরনের জিন, যা কোষের এনার্জি হিসেবে সঞ্চিত থাকে। যখন এই মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ কোষ থেকে বের হয়ে রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে, এর অর্থ হল শরীরের কোষগুলির মৃত্যু হচ্ছে। এর থেকেই রোগীর শারীরিক অবস্থা কী রকম, তার একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।
advertisement
3/5
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হৃষীকেশ এস কুলকার্নি জানিয়েছেন যে এই গবেষণা কতটা অব্যর্থ ভাবে এই হিসেবগুলো দিতে পারছে সেটা বুঝতে গেলে আরও বৃহত্তর ট্রায়াল দরকার। তবে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি বোঝা যায় কখন কোন রোগীর ডায়ালিসিস প্রয়োজন বা তাঁকে ইনকিউবেশনে রাখতে হবে, যাতে তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কম না হয়, সেটা রোগীর প্রাণ বাঁচাতে অনেকটাই সহায়ক হবে।
advertisement
4/5
তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে এই টেস্ট কিন্তু কোভিড ১৯ নির্ণয় করে না বা তার থেকে মুক্তিও দেয় না। এই টেস্ট বলে দেয় যে একজন কোভিড ১৯ রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ঠিক কতটা! এছাড়াও এই টেস্ট চিকিৎসকদের আগে থেকেই সঙ্কেত দেয় কীভাবে একজন রোগীর চিকিৎসাপদ্ধতির পথ নির্ণয় করা যেতে পারে। যদি কোনও রোগীর ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে, তা হলে এই টেস্টের মাধ্যমে আগে থেকেই চিকিৎসকরা প্রস্তুত থাকলে রোগী উপকৃত হবেন। এই গবেষণার জন্য ৯৭ জন রোগীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনেই এঁদের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ-র পরীক্ষা হয়।
advertisement
5/5
যে সব কোভিড ১৯ রোগীদের ফুসফুসে সংক্রমণ আছে এবং যাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি, দেখা গিয়েছে যে তাঁদের শরীরে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ-র পরিমাণ অন্যান্যদের চেয়ে দশগুণ বেশি।