Supreme Court: 'কোথাও তো জবাবদিহি করতে হবে!' ইউটিউব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের! এবার কি অনলাইনে কনটেন্ট দেখতেও আধার কার্ড?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Supreme Court: অনলাইন কনটেন্টের জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত।
advertisement
1/8

নয়াদিল্লি: ফের চর্চায় আধার কার্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। এবার থেকে ‘বিতর্কিত’ অনলাইন কনটেন্ট দেখার জন্যও কি আধার কার্ড জমা করতে হবে বয়সের প্রমাণ হিসেবে? বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমন প্রস্তাব দিতেই শোনা গেল দেশের শীর্ষ আদালতকে।
advertisement
2/8
অনলাইন কনটেন্টের জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত। তিনি মন্তব্য করেছেন, "আমি আমার নিজস্ব চ্যানেল তৈরি করি, আমি কারও কাছে জবাবদিহি করি না। কারও না কারও তো জবাবদিহি করতে হবে!" ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অশ্লীল ও আপত্তিকর বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
advertisement
3/8
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে যে একটি "নিরপেক্ষ, স্বাধীন এবং স্বায়ত্তশাসিত" নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রয়োজন। বর্তমান স্বনিয়ন্ত্রণ মডেলে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত এই মন্তব্য করে।
advertisement
4/8
সাম্প্রতিক কালে অনলাইন কনটেন্ট নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পড়েছেন একাধিক কমেডিয়ান ও পডকাস্টার। একদিকে যেমন ইউটিউবার এবং পডকাস্টার রণবীর এলাহাবাদিয়ার বিরুদ্ধে সময় রায়নার ‘ইন্ডিয়াস গট ল্যাটেন্ট’ শোয়ে বিতর্কিত–অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে, তেমনই সময় রায়নার বিরুদ্ধেও ‘স্পাইনাল মাস্কুলার অট্রোফি’তে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে মজা করার অভিযোগ উঠেছে।
advertisement
5/8
এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই দিন শীর্ষ আদালতকে বলতে শোনা গেল, সব অনলাইন কনটেন্টের উপরে একটা নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ থাকা আবশ্যিক।
advertisement
6/8
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে চলছিল শুনানি। সেখানে কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ‘এটা শুধু অশ্লীলতার বিষয় নয়, এটা বিকৃত–মনস্কতা। ইউজ়ার–জেনারেটেড কনটেন্টের উপরে নিয়ন্ত্রণ নেই বলেই এগুলো চলছে। বাক্স্বাধীনতা অমূল্য অধিকার ঠিকই, কিন্তু তার নামে বিকৃত–মনস্কতা মেনে নেওয়া যায় না।’ তা শুনে সিজেআই কান্তের বক্তব্য, ‘এটাই সমস্যা! আমি নিজের মতো চ্যানেল খুলে বসলাম, কারও কাছে আমার জবাবদিহি করার ব্যাপার নেই, এটা তো হতে পারে না! কাউকে না কাউকে তো দায়বদ্ধ হতেই হবে!’
advertisement
7/8
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, ‘কোনও কনটেন্ট যদি দেশবিরোধী হয়, তা হলে কি ক্রিয়েটর দায় নেবেন? আসলে সমস্যাটা হলো রেসপন্স টাইমের। বিতর্কিত কোনও মেটিরিয়াল আপলোড হওয়ার পরে যতক্ষণে প্রশাসন তা দেখে ব্যবস্থা নেবে, ততক্ষণে সেটা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। লাখ লাখ ভিউয়ার তা দেখে ফেলেছেন। সেটা কী ভাবে কন্ট্রোল করা সম্ভব?’
advertisement
8/8
এই মামলার অংশ হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণও। তিনি মন্তব্য করেন, কোনও কনটেন্টকে ‘দেশবিরোধী’ বলে দেগে দেওয়া হলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তাতে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘দেশবিরোধীর কথা ছাড়ুন, ধরুন অনলাইনে কেউ এমন একটা ভিডিয়ো আপলোড করল, যেখানে বলা হল, কোনও একটা অংশ আদতে ভারতের অংশই নয়! এই সব ক্ষেত্রে কী করবেন?’