Jagannath Puri Rath Yatra 2023: রথ মানেই পুরী, কিন্তু জানেন কি পুরীর রথের বিশেষত্ব? জানলে মন ভরে যাবে

সামনেই রথ যাত্রা। আর রথযাত্রা বললেই সবার আগে মনে আসে ওড়িশা রাজ্যের পুরীর কথা। এখানের রথ যাত্রা বিশ্ব বিখ্যাত। কিন্তু রথযাত্রা ও রথের যে বিশেষত্ব আছে তা কি আপনি জানেন?

পুরীর রথগুলি বিশেষভাবে সেই রথযাত্রার জন্যই তৈরি করা হয়। ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা এই রথেই গুন্ডিচা মন্দিরে ভ্রমণ করেন। তাঁদের বিশেষ পূজা হয় রথযাত্রার এই বিশেষ তিথিতে। কিন্তু রথ তৈরির অনন্য প্রকৌশল সম্পর্কে খুব কম লোকই জানেন। এই কৌশল এবং প্রকৌশল সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাব।

ভগবান জগন্নাথের রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’, ভগবান বলরামের রথের নাম 'তালধ্বজ' এবং দেবী সুভদ্রার রথের নাম হল 'দর্পদলন'। প্রতি বছর রথের শোভাযাত্রার জন্য এসব রথ নতুন করে তৈরি করা হয়।

রথটি দেখতে হয় মন্দিরের মতো। রথ নির্মাণের ঐতিহ্য অনুসারে, 'নান্দীঘোষ' রথ (ভগবান জগন্নাথের রথ) ৩৩ হাত উঁচু হয়। এই রথটি তৈরি করতে ১৬ টি চাকা এবং ৮৩২টি কাঠের টুকরা ব্যবহার করা হয়েছে।

দেবী সুভদ্রার রথটি ৩১ হাত উঁচু হয়। এতে ১২টি চাকা থাকে এবং ৫৯৩টি কাঠের টুকরো দিয়ে রথটি ব্যবহার করা হয়েছে। ভগবান বলরামের রথটি ৩২ হাত ১০ আঙ্গুল সমান উঁচু হয়। এই রথটি তৈরিতে ১৪ টি চাকা এবং ৭৬৩টি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনটি রথে ১১২০ মিটার কাপড়ে ঢাকা হয়। ভগবান জগন্নাথের রথের ছাদে লাল ও হলুদ কাপড় ব্যবহার করা হয়। একইভাবে ভগবান বলরামের রথে লাল ও সবুজ কাপড় ব্যবহার করা হয় এবং দেবী সুভদ্রার রথে লাল ও কালো কাপড় ব্যবহার করা হয়।

ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রথে আরও একটি কাঠের ব্রেক সিস্টেম থাকে। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের অনুমোদনের পর ঝাড়সুগুড়ার একজন ব্যক্তি প্রতি বছর রথের জন্য ব্রেক তৈরি করেন।

শিল্পীরা ৫৮ দিন ধরে এই রথগুলিতে তৈরি করেন। চাকা ও রথ তৈরির সময় খুবই অল্প লোহার পেরেক ব্যবহার করা হয়।